তার এক ভুল মন্তব্যেই দেশজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। গোটা দেশের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বিজেপির প্রাক্তন নেত্রী নূপুর শর্মার। যে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে তার জন্য তিনিই দায়ি। এমনটাই পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।
দেশের শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, নূপুর শর্মা যে যে মন্তব্য করেছেন তা করা সমীচিন হয়নি। একজন আইনজীবী হয়ে যে কথা বলেছেন তা লজ্জার। তাই তাঁর উচিত এই মুহূর্তে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া। এক সাংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে হজরত মহম্মদ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে ফেলেন নূপুর শর্মা।
তাঁর সেই মন্তব্যের পর দেশজুড়ে তুমূল হইচই শুরু হয়। রাজ্যে রাজ্যে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। রাস্তায় অবরোধ করা থেকে শুরু করে ট্রেন ভাঙচুর, হিন্দু-মুসলিম বিবাদ সবই হয়। এছাড়াও ওই সাসপেন্ডেড বিজেপি নেত্রীকে গ্রেফতারির দাবি তুলে একাধিক রাজ্যের একাধিক থানায় মামলা রুজু হয়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি একেবারে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছিল।
এই পরিস্থিতিতে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়ার সমস্ত এফআইআর দিল্লিতে স্থানান্তর করার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন নূপুর। সেখানে তাঁর আইনজীবী বলেন, তাঁর মক্কেলের প্রাণহানীর আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই মামলার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্ট এই মন্তব্য করে। একই সঙ্গে নূপুরের আর্জিও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা, মুম্বই ছাড়াও অন্যান্য অনেক রাজ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়েছে।
নারকেলডাঙা থানা, বেহালা থানা, জোড়াসাঁকো থানা সহ শুধুমাত্র কলকাতায় মোট ১০ টি থানায় নূপুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। যদিও কোনও থানাতেই হাজিরা দিতে যাননি নূপুর। প্রাণহানির আশঙ্কা বলে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন এবং থানায় যাওয়ার জন্য সময়ও চেয়ে নিয়েছেন। এখন সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণের পর তিনি কী করেন এটাই দেখার।