সম্প্রতি তার একটি ভুল মন্তব্যে তোলপাড় হয়েছে গোটা দেশসহ বিভিন্ন রাজ্যে। বিক্ষোভের আগুন জ্বলেছে বিভিন্ন রাজ্যে যার আচ পড়েছে বাংলাতেও। সংবাদমাধ্যমের বিতর্ক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে হজরত মহম্মদ সম্পর্কে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা। সেই মন্তব্যের পর থেকেই দেশ জুড়ে উত্তপ্ত পরিবেশ। রাজ্যে রাজ্যে বিক্ষোভ, অবরোধ। এই বিক্ষোভের প্রভাব পড়েছে বাংলাতেও। সেই কারণেই তাঁকে কলকাতা পুলিশ তলব করেছিল।
সোমবারই নূপুরকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। কলকাতা পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১ এ ধারায় নোটিস পাঠিয়েছিল নূপুর শর্মাকে। নারকেলডাঙা থানায় হাজিরা দিতে হত তাঁকে। কিন্তু নির্ধারিত দিনে আসেননি তিনি। এবার তাঁকে তলব করল আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা। আগামী শনিবারের মধ্যে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে হাজিরা দিতে তিনি কেন পারবেন না সেই কারণ জানিয়ে নূপুর কলকাতা পুলিশকে মেল করে বলেছিলেন, তাঁর জীবনের ঝুঁকি রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে তিনি কলকাতা এসে হাজিরা দিতে পারছেন না। তবে হাজিরা দেওয়ার জন্য চার সপ্তাহ সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি। এখনও চার সপ্তাহ হয়নি তার আগেই ফের তাঁকে তলব করল কলকাতা পুলিশ।
উল্লেখ্য, নারকেলডাঙা থানা, বেহালা থানা, জোড়াসাঁকো থানা সহ কলকাতায় মোট ১০ টি থানায় নূপুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। আগেই অবশ্য তাঁকে তলব করেছে মুম্বই পুলিশও। আগামী ২৫ জুন নূপুরকে হাজিরা দিতে সমন পাঠানো হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১ নম্বর ধারায় নূপুরকে নোটিস পাঠিয়েছে মুম্বই পুলিশ। এখন দেখা যাক তিনি মুম্বই পুলিশ বা কলকাতা পুলিশের তলবে সাড়া দেন কিনা।
ইতিমধ্যেই এই প্রাক্তন বিজেপি নেত্রীর গ্রেফতারির দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। তাঁর এই বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দেশের বাইরেও ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে। যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে দেশে তা নিয়ে বিরাট চাপে কেন্দ্রীয় সরকারও। বিরোধীরা লাগাতার আক্রমণ করে চলেছে তাদের।