ধীরে ধীরে আবার আগের জায়গায় দেশ, সুস্থ হচ্ছে দেশের করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতি। বিগত কয়েক দিন পর আজ আরও কিছুটা স্বস্তি বাড়ল দেশে কারণ দৈনিক সংক্রমণ ১৩ হাজারের ঘরে চলে এসেছে আবার। অন্যদিকে টিকাকরণে আরো বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে প্রশাসনের তরফে। শুরু হয়েছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে টিকাকরণ অভিযান। সব মিলিয়ে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার আবহেই একটু একটু করে স্বস্তি পাওয়ার লক্ষণ। এদিকে আরো বড় খবর যে, ২৬৩ দিন পর প্রথম বার সর্বনিম্ন হল অ্যাকটিভ রোগীর সংখ্যা।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ১২৬ জন। যা সোমবারের তুলনায় ১১ শতাংশ কম। এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৩৩২ জনের, যা গতকালের তুলনায় অনেকটাই বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে ১১ হাজার ৯৮২ জন। মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮৬ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৪৩ লক্ষ ৭৭ হাজার ১১৩ জন। অন্যদিকে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৬১ হাজার ৩৮১ জন।
দেশের অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা এই মুহূর্তে ১ লক্ষ ৪০ হাজার ৬৩৮ জন। গত ২৬৩ দিনে এটাই সর্বনিম্ন। দেশের সংক্রমণের হার ৫.৫৭ শতাংশ এবং গত ২৪ ঘণ্টায় সেই হার ০.৯৩ শতাংশ। উল্লেখ্য, কেরল ছাড়া দেশের বাকি সব রাজ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজারের কম রয়েছে। কেরলে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৪০৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন।অন্যদিকে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশে সার্বিকভাবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় সংক্রমিত হয়েছেন ৬০৩ জন। রাজ্যের করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ১৪৯ জন কলকাতার! অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে এদিনও প্রথমে তিলোত্তমা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে সেখানে আক্রান্ত অনেকটা বেড়ে ১৩৮ জন। এরপরে রয়েছে হাওড়া, সেখানে আক্রান্ত ৫০, এবং তার পরে হুগলি, আক্রান্ত ৪৬ জন। ফলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৫ লক্ষ ৯৯ হাজার ০৯১ জন। অন্যদিকে, একদিনে রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ হাজার ২৪০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৮.৩০ শতাংশ।