সবচেয়ে দরকারি তথ্য রেশন কার্ড। নাগরিকদের দরকারি নথির মধ্যে এটি সব চেয়ে জরুরি। তাই রেশন কার্ডে নাম থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দরিদ্রসীমার নীচে থাকা মনুষ এই কার্ডের মাধ্যমে সরকারি বহু প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন। এমনকি রেশন কার্ড নম্বর ছাড়া প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনাতেও রেজিস্ট্রেশন করা যায় না। তাই রেশন কার্ড থাকা গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের সকলেরই রেশন কার্ড থাকা উচিত। জন্মের পরই শিশুর রেশন কার্ড বানিয়ে নেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
নবজাতক শিশু হোক বা নতুন বিয়ের পর নববধূ বাড়িতে এলে তাদের রেশন কার্ডে নাম রেজিস্ট্রেশন করা উচিত। তবে অনেকেই সরকারি কাজে সময় লাগার ভয়ে চিন্তিত থাকেন। কিন্তু রেশন কার্ডে নাম রেজিস্টার করা কোনও কঠিন কাজ নয়। অনেক রাজ্য অনলাইনেও এই পরিষেবা দেওয়া শুরু করেছে। তবে এখনও কিছু রাজ্যে অফলাইনে এই কাজ হয়।
রেশন কার্ডে শিশুর নাম যোগ করাতে হলে পরিবারের প্রধানের রেশন কার্ড, নবজাতকের বার্থ সার্টিফিকেট ও বাবা-মায়ের আধার কার্ড প্রয়োজন। একই সঙ্গে নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করতে হবে। নববধূর ক্ষেত্রে ম্যারেজ সার্টিফিকেট, স্বামীর রেশন কার্ড ইত্যাদি কাগজপত্রের প্রয়োজন হবে।
অফলাইনে রেশন কার্ডে নতুন সদস্যের নাম যোগ করতে খাদ্য সরবরাহ দফতরের অফিসে গিয়ে একটি ফর্ম নিতে হবে। হরিয়ানা, পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কিছু রাজ্যে ফর্মটি রেশন ডিপোর মালিকের কাছেও পাওয়া যায়। সঠিকভাবে নতুন নাম রেজিস্টার করার জন্য ফর্মটি যথাযথ ভাবে পূরণ করতে হবে। এর সঙ্গে যাবতীয় কাগজপত্রও জমা দিতে হবে। ফর্ম জমার পর রসিদ নিতে ভুললে চলবে না। আধিকারিকেরা নতুন ফর্ম পরীক্ষার করার পরই নতুন আপডেট হওয়া রেশন কার্ড পাওয়া যাবে।
বিভিন্ন রাজ্যের খাদ্য দফতরের পোর্টালে গিয়ে এই কাজ করা যেতে পারে। সাধারণত এক্ষেত্রে গ্রাহকের নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে লগ ইন করতে হয়। এরপর এখানেই নতুন সদস্য যোগ করার অপশন পাওয়া যায়। যাবতীয় নথির কপি সফট কপি আকারে জমা দিতে হবে। তাহলেই তা রিভিউ করার পর নতুন রেশন কার্ড পাওয়া যাবে।