এবার প্রশ্ন অবশেষে কে বসবে ব্রিটেনের মসনদে? ঋষি না লিজ ট্রাস

সদ্যই নিজ পদে ইস্তফা দিয়েছেন বরিস জনসন। চলছে নির্বাচন, নতুন প্রধানমন্ত্রী পেতে চলেছে যুক্তরাজ্যে। যুক্তরাজ্যের প্রথম ভারতীয় বংশভূত প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে আরও একধাপ এগোলেন ভারতের জামাই ঋষি সুনক। ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগের পর থেকেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঋষির নামই বারবার সামনে এসেছে।

এবার আরো বেশ খানিকটা এগিয়ে গেলেন ভারতের জামাই ঋষি সুনক। ব্রিটেনের মসনদের আরও কাছে ভারতের জামাই ঋষি সুনাক। দলের অন্দরের পঞ্চম দফা অর্থাৎ চূড়ান্ত পর্বের ভোটাভুটিতে ছিটকে গেলেন ব্রিটেনের কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের পেনি মর্ডান্ট।

অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টির ১৩৭ জন সাংসদ বা এমপির ভোট পেয়েছেন ঋষি এবং দ্বিতীয় স্থানে লিজ ট্রাস। এবার দলের সদস্যদের ভোটাভুটির পালা। ব্রিটিশের মসনদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কোনও নেতা বসবেন কিনা তা জানা যাবে ৫ সেপ্টেম্বর।

তবে ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের পদত্যাগের পর থেকেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঋষির নামই বারবার সামনে এসেছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ব্রিটেনের আগামী প্রধানমন্ত্রী পদ ঋষির দখলে আসা এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

রিপোর্ট অনুযায়ী যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রাথমিক যুদ্ধে জিতে চূড়ান্ত পর্বের লড়াইয়ে ঢুকে পড়েছেন ঋষি। তবে তিনি যে চূড়ান্ত রাউন্ডে পৌঁছাবেনই তা বেশ পরিষ্কারই ছিল। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রশ্ন ছিল, কে হবেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী। শেষ পর্যন্ত জানা গিয়েছে ঋষির সঙ্গে লড়াই হতে যাচ্ছে লিজ ট্রাসের। পঞ্চম রাউন্ডের ভোটাভুটিতে ছিটকে গিয়েছেন পেনি মডান্ট। তাঁর প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ছিল ৯৫।

কিন্তু সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে ঋষির সামনে এখনও বাকি দীর্ঘ লড়াই। কারণ, দলের সদস্যদের ভোটাভুটিতে অনেকটা এগিয়ে ঋষির প্রতিদ্বন্দ্বী লিজ ট্রাস। আবার জনসনেরও পছন্দের প্রার্থী ট্রাস। ভোটাভুটিতে সেই প্রভাবও খানিকটা কাজ করবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ফলে ব্রিটেনের মসনদে পৌঁছনোর পথটা ঋষির জন্য আগামীতে বেস কঠিন হতেই চলেছে। অবশ্য এই ভোটের আগে আগামী সোমবার ‘প্রধানমন্ত্রী বিতর্কের’ আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে দেশবাসী এবং দলের সদস্যদের প্রভাবিত করার কিছুটা সুযোগ পাবেন ঋষি।