প্রায় এক মাসের কাছাকাছি পৌঁছাতে চললো রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি৷ রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের ২০ দিন পার৷ ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে ইউক্রেন৷ দেশ জুড়ে চলছে মৃত্যু মিছিল৷ এরই মধ্যে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অস্ত্র প্রয়োগ করতে চলেছে রাশিয়া৷ পুতিন বাহিনীর রাসায়নিক আক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল ন্যাটো৷ ন্যাটোর সদস্য দেশগুলির প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক শুরুর আগেই ন্যাটোর সাধারণ সম্পাদক জেন্স স্টোল্টেনবার্গ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ইউক্রেনের উপরে যে কোনও সময় রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে রাশিয়া। যা নিয়ে উদ্বেগে ন্যাটো৷
এদিকে গত সপ্তাহে রাশিয়া অভিযোগ করে, ইউক্রেন নাকি দেশের অন্দরেই জৈব অস্ত্র তৈরি করছে। এই কাজে তাদের মদত যোগাচ্ছে আমেরিকা। যদিও রাশিয়ার সেই অভিযোগ খারিজ করে দেয় দুই দেশই৷ উল্টে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনে ইউক্রেন বলে, রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের চেষ্টা চালাচ্ছে পুতিনের ফৌজ। মঙ্গলবার ন্যাটোর বৈঠক শুরুর আগে ইউক্রেনের সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে স্টোল্টেনবার্গ বলেন, “আমরা রাশিয়ার আচরণে উদ্বিগ্ন৷ ভুয়ো অভিযানের আড়ালে মস্কো রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে বলে আমাদের আশঙ্কা৷ আমরা এই বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক রয়েছি। রাশিয়া ইউক্রেনের উপর রাসায়নিক হামলা চালালে ভারী মূল্য চোকাতে হবে তাদের৷ এই ভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে হামলা চালাতে পারে না রাশিয়া।”
পাশাপাশি ইউক্রেনের অস্ত্র ভাণ্ডারে জৈব অস্ত্র খাকার জল্পনা খারিজ করে দিয়েছেন তিনি৷ কিন্তু, রাশিয়া ইউক্রেনে রাসায়নিক অস্ত্র হামলা চালালে পাল্টা জবাব দেবে কি ন্যাটো? এই বিষয়েও মুখ খোলেননি তিনি৷ ন্যাটো ইউক্রেনকে সরাসরি সাহায্য না করলেও ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী দেশগুলিতে ইতিমধ্যেই ন্যাটো বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে৷ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রেখেছে তারা৷