প্রতি নিয়ত অভিযোগের আঙুল উঠেছে রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ ডি-র পাশাপাশি গ্রুপ সি-র কর্মী নিয়োগেও বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে৷ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছ্বতা নিয়ে গত ২ ডিসেম্বর বিস্তারিত রিপোর্ট কলকাতা হাই কোর্টে জমা করেছেন মামলাকারীরা। ওই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে ‘ভুয়ো’ কর্মীদের বেতন বন্ধের নির্দেশও দেয় আদালত। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি৷ তাতে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছে আদালত-
১) কত জনকে এসএসসি রেকমেন্ডেশন করেছে।
২) কত জনকে নিয়োগ করা হয়েছে৷
৩) কতজন চাকরিপ্রার্থী এখনও ওয়েটিংয়ে আছে।
৪) কত পোস্ট খালি পড়ে রয়েছে৷
বলা হয়েছে, বিভিন্ন জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শকদের পক্ষ থেকে রাজ্য হাফনামা জমা দেবে। তারা কতগুলো রেকমেন্ডেশন লেটারের ভিত্তিতে নিয়োগ করেছে তা জানানোর পাশাপাশি এও জানাতে হবে যে, কার কাছ থেকে সেই রেকমেন্ডেশন লেটার পেয়েছে এবং কিভাবে পেয়েছে। ২৩ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে৷
মামলাকারী কলকাতা হাই কোর্টে অভিযোগ জানিয়েছিলেন যে, এসএসসি-র গ্রুপ সি পদে প্রায় ৩৫০ জন কর্মীর নিয়োগ নিয়ে অস্বচ্ছ্বতা রয়েছে৷ ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলাকারীর থেকে ‘ভুয়ো’ নিয়োগের সমস্ত নথি অর্থাৎ যাঁদের অস্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল, তাঁদের নাম-ঠিকানা-নিয়োগপত্র চেয়ে পাঠিয়েছিল আদালত। সেই রিপোর্ট ইতিমধ্যেই আদালতে জমা পড়েছে৷
গ্রুপ সি’র পাশাপাশি গ্রুপ ডি পদেও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে৷ এই অভিযোগের ভিত্তিতে ৫৪২ জন অভিযুক্ত কর্মীর বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেয় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। পাশাপাশি ভুয়ো নিয়োগ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ।