অপরাধমূলক কাজের শাস্তি পাওয়া বন্দিদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নতুন উদ্যোগ। সংশোধনাগারে বন্দিদের সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে কিঞ্চিৎ সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিগত কয়েক বছরে রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে বন্দিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এখনও পাচ্ছে।
বর্তমানে সেই সংখ্যা অত্যধিক হওয়ার ফলে সীমিত জায়গার মধ্যে অনেক বেশি বন্দিদের থাকতে হচ্ছে। তাই এই সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বেশ কয়েক জন মরণাপন্ন বন্ধিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী গত জানুয়ারি মাসে প্রায় ৩৬ জন মরণাপন্ন বন্ধিদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এই ধরনের মরণাপন্ন বন্দি আরও কত আছে তা জানতে চেয়েছে আদালত। এই প্রেক্ষিতেই তারা রাজ্য সরকারকে এই ইস্যুতে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
হাইকোর্টের বক্তব্য, রাজ্য সরকারকে পর্যালোচনা করে দেখতে হবে আরও কত জন এই রকম বন্দিকে মুক্তি দেওয়া যায়। আগামী ৮ অগাস্ট এই রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। এর পাশাপাশি খবর মিলেছে, সম্প্রতি প্রায় ১০০ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু জেলা আদালতের প্রক্রিয়ার জন্য সেই বন্দিদের এখনো পর্যন্ত ছাড়া সম্ভব হয়নি। কলকাতা হাইকোর্ট দ্রুত বিষয়টির নিষ্পত্তি চেয়েছে। আদালতের আরও নির্দেশ, সংশোধনাগারে বন্দিদের উপযুক্ত চিকিৎসা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে সংশ্লিষ্ট সংশোধনাগারের সুপারকে। চিকিৎসা সংক্রান্ত রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
এর পাশাপাশি, বিভিন্ন রাজ্য এবং বিদেশের অনুপ্রবেশকারীরা যাদের সাজা ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তারা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে, তাদের বিষয়টিও দ্রুত নিষ্পত্তি করে একটি রিপোর্ট জমা করতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।