একই জংশনের ওপর অতিরিক্ত চাপ কমাতে নতুন উদ্যোগ রেলের তরফে। বদলাতে পারে ব্যস্ততম স্টেশনের তালিকা। ভারতের অন্যতম ব্যস্ত রেলস্টেশনের তালিকায় প্রথমের দিকে হাওড়া। এই জংশনের মাধ্যমে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়ত করেন। দূরপাল্লর ট্রেন, এক্সপ্রেস ট্রেনের পাশাপাশি একাধির রুটের লোকাল ট্রেন চলে এই স্টেশন দিয়ে। ট্রেনের সঙ্গে বাড়ার পাশাপাশি যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে। যার জেরে স্টেশনের ওপর চাপ পড়ছে। হাওড়া স্টেশনের ওপর চাপ কমাতে অনেকদিন ধরে বিকল্প হিসেবে অন্য স্টেশনের কথা ভাবা হচ্ছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া স্টেশনের ওপর চাপ কমাতে ডানকুনি জংশনের কথা ভাবা হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানা গিয়েছে।
পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজের জেরে শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বন্ধ ছিল ব্যান্ডেল স্টেশন। সোমবার রেলস্টেশন পরিদর্শনে আসেন রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক। তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হলেন, চাপ কমাতে হাওড়ার বিকল্প হিসেবে ডানকুনির স্টেশনের কথা ভাবা হচ্ছে। হাওড়ার বিকল্প ব্যান্ডেল হওয়া সম্ভব নয়। এতে যাত্রীরা বিপাকে পড়বেন। হাওড়ায় সাধারণত কলকাতা ও আশেপাশের অঞ্চলের যাত্রীদের চাপ থাকে। ডানকুনি থেকে যাত্রীদের গন্তব্যে যেতে সুবিধা হবে। ডানকুনি স্টেশনে ভবিষ্যতে কোচিং কমপ্লেক্স করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন।
ব্যান্ডেল স্টেশন পরিদর্শনে আসেন হাওড়ার ডিএমআর মনীশ জৈন। ইআই স্টিটেম চালু হয়ে গিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকে থার্ড রেল চালু হয়ে যাবে। সিআরএসের অনুমতির জন্য শুধু অপেক্ষা। এর ফলে ট্রেনের গতি বাড়বে বলে তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি দুর্ঘটনার প্রবনতা কমে যাবে বলে মনীশ জৈন দাবি করেছেন। গোটা ব্যবস্থটাই ইলেকট্রনিক হওয়ায় রুটে ট্রেন চলাচলে আগের থেকে অনেক সুবিধা হবে বলে তাঁর মত। মঙ্গলবার থেকে ব্যান্ডেল স্টেশনের নম্বর পরিবর্তন হবে বলেও জানা গিয়েছে।