করোনা আবহ থেকে সাধারণ মানুষের রেশন নিয়ে একাধিক নয়া নির্দেশিকা প্রদান করেছে কেন্দ্র। এক দেশ এক রেশন কার্ড প্রকল্পের আওতায় নতুন ব্যবস্থায় রেশনে খাদ্যশস্য তোলার জন্য গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক তথ্য না মিললেও বিকল্প পদ্ধতিতে তাঁদের রেশন দেওয়া হবে। প্রকৃত গ্রাহকরা যাতে রেশন পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হন সে ব্যাপারে সমস্ত রেশন ডিলারদের নির্দেশিকা দেওয়া হবে বলে খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, মূলত বয়সজনিত কারণে একাধিক গ্রাহকের আধার নম্বর ই-পস যন্ত্রে যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে না। আবার গ্রামীণ কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা যথেষ্ট দুর্বল হওয়ায় আধার কার্ডের নম্বর যাচাই করা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। ডিলারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোনও গ্রাহক যদি তাঁর আধার নম্বরটি ঠিকঠাক বলতে পারেন, অথচ বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তাঁর আধার নম্বর যাচাই করা না যায় তবুও তিনি রেশন পাবেন। পাশাপাশি তাঁর আধার নম্বর যদি সংযুক্ত না থাকে তা তৎক্ষণাৎ যুক্ত করে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে ১ জুন ২০২০ থেকে দেশজুড়ে বাস্তবায়িত হয়েছে মোদী সরকার প্রস্তাবিত ‘এক জাতি এক রেশন কার্ড’। এর ফলে একটাই কার্ড ব্যবহার করে উপভোক্তারা দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে রেশন সংগ্রহ করতে পারেন।
বাংলাতেও চালু হয়েছে ‘এক দেশ, এক রেশন কার্ড’। পরিযায়ী শ্রমিকরা যাতে সহজে দেশের যে কোনও রেশন দোকান থেকে খাদ্য দ্রব্য সংগ্রহ করতে পারেন, সে কথা মাথায় রেখেই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এর ফলে এ রাজ্যের বাসিন্দারা দেশের যে কোনও প্রান্ত থেকে তাদের বরাদ্দ রেশন সংগ্রহ করতে পারবেন। যাঁদের রেশন কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড যুক্ত করা আছে, রাজ্যের মধ্যে তাঁরা যে কোনও রেশন দোকান থেকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করতে পারবেন।
তবে রেশন তোলার সময় আধার ভিত্তিক বায়োমেট্রিক ব্যবস্থায় নিজের পরিচয় প্রমাণ করতে হবে। রেশন ডিলারদের এখন থেকে ইপিওস অনলাইন পোর্টালে রেশন দোকানে সব লেনদেন অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যে মানুষেরা রাজ্যের বাইরে অন্যত্র রেশন দোকান থেকে বরাদ্দ তুলতে চাইছেন, তাতেও যাতে অসুবিধা না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে রাজ্য সরকারের তরফে রেশন ডিলার দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আগেই।