সম্প্রতি নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে পাহাড়ে সূচনা হয়েছে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণের। নির্বাচনে জয় লাভের কারণে ফল প্রকাশের পর থেকেই জল্পনা ছিলই তিনি জিটিএ শপথে পাহাড়ে যাবেন। সেই কথা মতো পাহাড়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জিটিএ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাহাড় সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই অনুষ্ঠান হয়ে গেলেও তিনি আপাতত সেখানেই রয়েছেন। বুধবার তিনি যোগ দিয়েছেন নেপালি কবি ভানু ভক্তের জন্মদিবস অনুষ্ঠানে। এই অনুষ্ঠানের জন্য এই মুহূর্তে পাহাড়েই গিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এবার জানা গেল, দার্জিলিঙে হাজির হয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও। সব মিলিয়ে রাজনৈতিক পারদ হু হু করছে বাড়ছে শৈল শহরে। তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং হিমন্ত বিশ্বশর্মা বৈঠক হবে? প্রশ্ন উঠছে।
কেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী এই সময়ে দার্জিলিং এসেছেন তা নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। কিন্তু মনে করা হচ্ছে তাঁর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ এবং বৈঠক হবে। তবে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সেখানে থাকবেন কিনা সেটাও স্পষ্ট নয়। কিন্তু বৈঠক হলে কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে?
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে দুই মুখ্যমন্ত্রী কথা বলতে পারেন। কারণ ক্রস ভোটিং হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সেক্ষেত্রে আলোচনার মাধ্যমে যাতে একটা সমাধান সূত্রে আসা যায় তার চেষ্টাই হয়তো করবেন হিমন্ত। যদিও এটাও পরিষ্কার নয় যে তিনি সত্যিই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও রকম বৈঠক যাবেন। তবে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে পাহাড়ের উত্তাপ আরও বেড়েছে।
এদিকে, বাগডোগরায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে কর্মসংস্থান এবং শাসনব্যবস্থা নিয়ে তোপ দাগেন। রাজ্যপাল বলেন, বিগত তিন বছর ধরে তিনি অনেক কথাই শুনেছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বিনিয়োগ, চাকরির নতুন সুযোগ নিয়ে অনেক কথাই বলেছে রাজ্য সরকার। তবে সেই মতো কোনও কাজ হয়নি বলেই দাবি করেছেন তিনি।