বাড়ন্ত কারণে সংরকমনের আবহে ফের একবার বন্ধ হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দরজা৷ এবার পাড়ায় পাড়ায় স্কুল খুদে পড়ুয়াদের জন্যে৷ প্রাথমিক স্তরে নতুন প্রকল্প আনতে চলেছে রাজ্য সরকার৷ নয়া প্রকল্পের নাম ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’৷ সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের ঘোষণা করবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷
করোনা আবহে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে প্রায় দুই বছর বন্ধ রয়েছে স্কুলে প্রাথমিকের পঠন পাঠন৷ এমতাবস্থায় নয়া উদ্যোগ রাজ্যের৷ বলা হয়েছে, কোনও বদ্ধ জায়গায় নয়, খোলা আকাশের নীচে নেওয়া হবে ক্লাস৷ ক্লাস নেবেন স্কুলের শিক্ষক-পার্শ্বশিক্ষক ও শিক্ষা সহায়করা৷ প্রাথমিক স্তরে রাজ্য সরকারের এমনই চিন্তা ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ রাজ্যের প্রায় ৮০ লক্ষ প্রাথমিক পড়ুয়ার জন্য এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে৷ স্কুল বন্ধ থাকায় খুদে পড়ুয়াদের নিয়ে এই বিকল্প ক্লাসের ভাবনা বলে শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর৷
দুই বছর স্কুল বন্ধ থাকায় কচিকাঁচাদের পঠন পাঠন প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে৷ এই অবস্থায় শিক্ষা দফতরের নতুন উদ্যোগ পাড়ায় শিক্ষালয়৷ সূত্রের খবর, যেহেতু করোনাকালে স্কুল খোলা সম্ভব হচ্ছে না, তাই পড়ুয়াদের পাড়ায় পাড়ায় এনে ক্লাস নেওয়া হবে৷ শুধু পঠন পাঠনই নয়, আনুষাঙ্গিক নাচ-গান, আবৃতিও শেখানো হবে৷ বিভিন্ন মনোবিজ্ঞানী বা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে এই পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করা হয়েছে৷ খোলা জায়গায় পঠন পাঠন হবে৷ কারণ চিকিৎসকরা বারবার সতর্ক করে দিয়েছেন যে, করোনাকালে আবদ্ধ জায়গায় পঠন পাঠন ঠিক নয়৷
আমাদের রাজ্যে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ ফেল নেই৷ গত দু’বছর ক্লাস না করেই ছোটরা নতুন ক্লাসে উঠে গিয়েছে৷ কিন্তু পড়ুয়ারা যাতে আগের পড়া ভুলে না যায়, সেই চিন্তা ভাবনা রয়েছে রাজ্য সরকারের৷ সোমবার এই কর্মসূচি চালু করার পাশাপাশি একটি লোগো প্রকাশ করা হবে৷ পরের সপ্তাহ থেকেই রাজ্যের প্রায় ৮০ লক্ষ পড়ুয়াকে নিয়ে শুরু হয়ে যাবে পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয়৷ যাদের বয়স ৫ বছর থেকে ৯ বছরের মধ্যে, মূলত তাদের নিয়ে হবে এই ক্লাস৷ প্রাথমিক স্কুলের কচিকাঁচা যারা এতদিন স্কুলেই আসতে পারেনি, বাড়িতেই অনলাইনে পঠন পাঠনের সুযোগ সুবিধা পায়নি, সেই সকল প্রান্তিক পড়ুয়াদের কছা চিন্তা করেই রাজ্য সরকারের এই নতুন প্রকল্প৷ পঞ্চায়েত ও ওয়ার্ড শিক্ষা কমিটি এই প্রকল্পের আয়োজন করবে৷ সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলের পড়ুয়ারা এই সুযোগ সুবিধা পাবে৷