বিগত পাঁচ দিনের টানা লড়াই, ধীরে ধীরে আরো খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি। ফের একবার আলোচনার টেবিলে বসতে চলছে রাশিয়া এমন খবর, কিন্তু গোলাগুলি থামাচ্ছে না তারা। গতকাল ইউক্রেনের কিয়েভ, খারকিভ শহরের হাল আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে। কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে এলাকাগুলি। এক ভারতীয়র মৃত্যুও হয়েছে কিয়েভে। পরিস্থিতি বুঝে গতকাল দিল্লির তরফে কিয়েভের ভারতীয়দের কড়া বার্তা দিয়ে বলা হয়েছিল, যে কোনওভাবে শহর ছাড়তে। সেই নির্দেশে হয়তো কাজ হয়েছে। কারণ আজ কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, কিয়েভে আর কোনও ভারতীয় নেই।
গতকাল ভারতীয়র মৃত্যুর পর কেন্দ্রের সরকারের ওপর যেন চাপ আরও বেড়ে গিয়েছে। ইউক্রেনে আটকে পড়া বাকি ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর তাগিদ যেন আরও বেড়েছে তাদের মধ্যে। সেই প্রেক্ষিতেই জানান হয়েছে, বুদাপেস্ট, পোল্যান্ড ও স্লোভাক প্রজাতন্ত্রের বিমানবন্দরগুলি দিয়ে ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং তার জন্য ২৬ টি বিমান যাচ্ছে। একই সঙ্গে জানান হয়েছে, কিয়েভে ভারতীয় দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আর কর্মী অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের তথ্য বলছে, ইউক্রেনে প্রায় ২০ হাজার পড়ুয়া ছিলেন। ইতিমধ্যে ১২ হাজার পড়ুয়া ইউক্রেন ছেড়েছেন। বাকি যারা রয়েছেন তাদের সকলকে উদ্ধার করতে আরও তিন দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে মোদী সরকার।
ইতিমধ্যেই বড় নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একাধিক বিমান করে ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের আনা তো হচ্ছেই, তাদের উদ্ধারে গ্লোবমাস্টার বিমান পাঠানোর নির্দেশও দিয়ে দিয়েছেন তিনি। আন্দাজ করা হয়েছিল যে, আগামী কয়েক ঘন্টায় পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হতে পারে।