গত সপ্তাহে শুক্রবার আচমকাই এই এক দুঃসংবাদ কেঁপে ওঠে ক্রীড়া জগত। আচমকা হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের অন্যতম সেরা স্পিন বোলার এবং অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি শেন ওয়ার্নের। তাঁর এই আকস্মিক মৃত্যু অনেকেই মানতে পারছেন না। তাইওয়ানে নিজের ভিলায় থাকাকালীন হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই ঘটনার পর নেটিজেনদের একাংশ দাবি করছে যে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেই ওয়ার্নের মৃত্যু হয়েছে। এই দাবিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে সব জায়গায়। তবে এই দাবি কি আদৌ সঠিক? কী বলছে বিশেষজ্ঞ মহল?
করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের কোনও সম্পর্ক নেই। যারা এই দাবি করছেন তারা ভুল এবং না জেনে দাবি করছেন। এমনটাই বক্তব্য চিকিৎসক মহলের। হোয়াটসঅ্যাপ বা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে না জেনে তথ্য পড়ে সেই তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। চিকিৎসক মহলের বক্তব্য, অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এই ভ্যাকসিন বাজারে আনা হয়েছে এবং এটি সাধারণ মানুষের জন্য একেবারে সুরক্ষিত। এই ভ্যাকসিনের সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক বা এই ধরণের কোন রোগের সম্পর্ক নেই। তাই এই দাবি একেবারেই ভুল। যদিও ইতিমধ্যেই তর্ক বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। নেটিজেনরা নিজেদের মধ্যে বিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন।
তাইল্যান্ডের তাঁর নিজের ভিলায় আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্নের৷ জানা গিয়েছে, শেষ মুহূর্তে চিকিৎসকরা গিয়েও কিছু করে উঠতে পারেননি। কোনও ভাবেই বাঁচানো যায়নি শেনকে। কিন্তু কেমন ছিল তাঁর জীবনের শেষ ৩০ মিনিট? পুলিশ সূত্রে তার কিছুটা জানা যাচ্ছে। এক বন্ধু রাত্রে খাওয়ার জন্য ওয়ার্নকে ডাকতে যান। তখন দেখেন অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওয়ার্ন। সঙ্গে সঙ্গে বাকি বন্ধুদের ডাকেন তিনি। প্রায় ২০ মিনিট ধরে তাঁকে সিপিআর দেওয়া হয়। কিন্তু শেনের কোনও রকম সাড়া মেলেনি। এরপর অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়। এমারজেন্সি ইউনিটের কয়েক জন কর্মী এসে আবার তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। ১০ থেকে ২০ মিনিট আরও একবার সিপিআর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আখেরে কোনও লাভ হয়নি। তাইল্যান্ড পুলিশ জানাচ্ছে, আপাতত যা মনে হচ্ছে তাতে এই মৃত্যুতে কোনও রহস্য নেই। তবু প্রথা মতো ওয়ার্নের দেহের ময়নাতদন্ত হবে।