সদ্দ্যই রাজ্যে সম্পন্ন হয়েছে কলকাতা পুরসভা ভোট। পুরসভার ভোট মিটে গিয়ে ফলাফল প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। সবুজ ঝড় বয়েছে শহরে, তৃণমূল কংগ্রেস বিরাট জয় পেয়েছে। কিন্তু এই পুরভোট নিয়ে বোমাবাজি, অশান্তি, মারধর ও ভোট লুঠের অভিযোগ তুলে একাধিক মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। বিরোধীরা কার্যত একজোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। এখন এই মামলা নিয়ে নাজেহাল অবস্থা নির্বাচন কমিশনের। আজ আদালতে এই ইস্যুতে কী জবাব দেবে তারা তাই নিয়েই চলছে প্রস্তুতি।
পুরভোট নিয়ে ব্যাপক চাপানউতোর সৃষ্টি হয়েছিল সারাদিন। কারণ বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ এনেছিল বিরোধীরা। একাধিক জায়গায় মারধর, বোমাবাজির মত ঘটনা ঘটেছিল। কলকাতা পুরভোটকে ‘প্রহসন’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছিল বিরোধীদের তরফে। সেই ইস্যুতেই কলকাতা হাইকোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেন বাম প্রার্থী দেবলীনা সরকার ও ফৈয়াজ আহমেদ। আবার ওই একই বেঞ্চে ভোট বাতিলের আবেদন করে বিজেপি। তারা অভিযোগ করে যে, বহু ওয়ার্ডে ছাপ্পা করা হয়েছে এবং ভোটারদের প্রভাবিত করা হয়েছে। সেই সব মামলা নিয়েই এখন আপাতত চাপে রয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
তবে বিরোধীরা যতই বলুক না কেন, খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন যে, ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে। তিনি বলেছিলেন, বিরোধীরা নাটক করছে। এদিকে, দলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলায়’ লেখা হয়েছিল, কলকাতা পুরসভা নির্বাচন হল ‘অবাধ শান্তিপূর্ণ’, এবং ‘প্রকাশ্যে রামধনু জোট’। আসলে ভোটের দিন ছাপ্পা করানো হচ্ছে, ভোট লুঠ করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হয় সিপিএম। এই ইস্যুতেই প্রতিবাদ করতে কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে বড়তলা থানার সামনে চলে আসে লাল বাহিনী। তারা আসার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে একই ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখিয়ে সামিল হয় কংগ্রেস এবং বিজেপি। মিলিতভাবে তাদের অভিযোগ ছিল, শাসক দলের বিরুদ্ধে কোনও কথা পুলিশ শুনছে না, বলে কোনও লাভ হচ্ছে না। তাই তারা থানার সামনে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন।