অবিরাম গতিতে চলছে যুদ্ধ৷ টানা ষোলো দিন ধরে যুদ্ধ চলছে ইউক্রেনে৷ একাধিক বৈঠকেও মেলেনি রফা সূত্র৷ তবে কি দীর্ঘ দিন ধরে যুদ্ধ চলবে? এমন আশঙ্কা যখন বাড়ছে, ঠিক তখনই মস্কো জানাল, আর নয়৷ দ্রুত যুদ্ধে ইতি টানতে চায় রাশিয়া৷ রুশ বিদেশমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছেন৷
ল্যাভরভ বলেন,‘মস্কো কখনওই যুদ্ধ চায়নি৷ এই সংঘর্ষ শেষ করার জন্যেও উন্মুখ হয়ে রয়েছে৷’ বিদেশমন্ত্রী এহেন বিবৃতি দিলেও, যুদ্ধ এখনই থামছে কিনা, তা নিয়ে সন্দিহান ওয়াকিবহাল মহল৷ ২৪ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার৷ ভোর হতেই ইউক্রেনে সেনা অভিযানের কথা ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন৷ এর পরেই বাধা ভাঙা স্রোতের মতো ইউক্রেনে ঢুকে পড়ে রুশ ফৌজ। দখল নিতে থাকে একের পর এক শহর৷ শুরু হয় ভয়ঙ্কর লড়াই। প্রথমে মনে হয়েছিল খুব সহজেই কিয়েভ দখল করে নেবে রাশিয়া। কিন্তু কিয়েভ দখল ততটাও সহজ হয়নি৷ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টা আঘাত হেনেছে ইউক্রেনীয় সেনা। এমনকী দেশ বাঁচাতে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে সাধারণ নাগরিক৷
এদিকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র, গোলা বর্ষণের সঙ্গে সঙ্গে ‘ভ্যাকুয়াম বোমা’র আঘাত হেনেছে রাশিয়া৷ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ভ্যাকুয়াম বম্ব ব্যবহারের কথা স্বীকার করে নিয়েছে মস্কোও। যুদ্ধক্ষেত্রে এটা একটি মারাত্মক অস্ত্র৷ ভ্যাকিউম বম্ব আসলে একটি থারমোবেরিক বোমা। এই বোমা বিস্তীর্ণ অঞ্চলের বাতাস থেকে সমস্ত অক্সিজেন শুষে নেয়। তারপরেই ঘটে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। তৈরি হয় বিরাট অগ্নিগোলক। বিস্ফোরণের জেরে প্রচণ্ড উত্তাপ সৃষ্টি হয়, সেই সঙ্গে তৈরি হয় ভয়ঙ্কর শক ওয়েভ। এর গতি এতটাই তীব্র হয় যে, মুহূর্তের মধ্যে বাড়িঘর থেকে মানুষ, সমস্ত কিছু খণ্ডবিখণ্ড হয়ে যায়।