সম্প্রতি জামিন মিলেছিল। কিছুদিনের জন্যে হলেও মুক্তি পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু জামিন পেয়েও মুক্তি মিললো না, অবশেষে দোষী সাব্যস্ত হলেন তিনি। অবশেষে প্রমানিত হলো যে তিনি দোষী। কথা হচ্ছে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব কে নিয়ে। পশুখাদ্য দুর্নীতি সংক্রান্ত চার মামলায় দোষী সাব্যস্ত ছিলেন তিনি কিন্তু চারটেতেই পেয়েছিলেন জামিন। তবে পঞ্চম মামলায় ফের দোষী সাব্যস্ত বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর সাজা ঘোষণা হওয়ার কথা। আগের মামলাগুলি থেকে গত বছর এপ্রিলে জামিন পেয়েছিলেন তিনি, তার পর থেকেই রয়েছেন জেলের বাইরেই। এবার ফের একবার জেলে যেতে হতে পারে তাঁকে।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে মোট চারটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর আবার পঞ্চম মামলায় দোষী প্রমাণিত হয়েছেন লালু। এই মামলায় মোট ১৩৯.৩৫ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত মাসের শেষ পর্যন্ত মামলার শুনানি চলেছিল এবং তখন মামলার রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল আদালতের তরফে। এবার সেই রায় দিয়ে লালুকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তবে সাজা ঘোষণা এখনও বাকি থাকায় স্বাভাবিকভাবেই কৌতুহল বাড়ছে যে এবার তাঁর কী সাজা হতে চলেছে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় লালু-সহ মোট ১৭০ জন অভিযুক্ত। তাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২ জন ইতিমধ্যেই আদালতের কাছে নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন। এছাড়া ৭ জন রাজসাক্ষী হয়েছেন এবং ৭ জন পলাতক। বাকি ৯৯ জন অভিযুক্তদের শুনানি চলছিল এতদিন ধরে।
গত বছর এপ্রিল মাসে যখন লালু যাদব জামিন পেয়েছিলেন তখন প্রায় সাড়ে ৩ বছর পর তিনি জেল থেকে বেরিয়েছিলেন। দুমকা কোষাগার থেকে ৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা বেআইনি ভাবে সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দু’টি ধারায় ৭ বছরের জেল হয়েছিল তাঁর। মোট চারটি মামলায় ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে জেলবন্দি ছিলেন লালু। তবে বেশিরভাগ সময়ে হাসপাতালে কাটাতে হয়েছিল লালুপ্রসাদ যাদবকে কারণ তিনি প্রচণ্ড অসুস্থ ছিলেন।