আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক ছাত্রীকে খুন ও ধর্ষনের ঘটনার পর পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের সহযোগিতার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। রাজ্যবাসীরাও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। সেই আবহের মাঝেই শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত মহম্মদ আব্বাসের প্রায় এক বছরের মাথায় সম্প্রতি ফাঁসির সাজা ঘোষণা হয় শিলিগুড়ি আদালতে। এই ঘটনার তদন্ত প্রকৃয়া দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে ২২ জন পুলিশ অফিসার ও তিন জন কনস্টেবল দিনরাত এক করেছেন। তাদের সহ সমস্ত পুলিশ মহলকে উৎসাহ যোগাতে বৃহস্পতিবার সেই সমস্ত পুলিশ কর্মীদের সম্মাণিত করা হলো। এদিন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটে ওই আধিকারিকদের সন্মানিত করলেন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, গত ২০২৩ সালের ২১শে আগষ্ট মাটিগাড়া ব্লকের মোটাজোত এলাকার একটি পরিত্যক্ত এলাকায় এক স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ ও নৃশংসভাবে মাথা থেতলে খুন করে মহম্মদ আব্বাস নামে এক যুবক। ঘটনার মাত্র ৬ ঘন্টার মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।গ্রেপ্তারের কয়েক মাসের মধ্যেই পুলিশ আদালতে চার্জশিট পেশ করে। বিভিন্ন তথ্য প্রমান ও সাক্ষীর ভিত্তিতে চলতি মাসের ৭ তারিখ শিলিগুড়ি আদালত অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে।ওই ঘটনায় সফলতার জন্য ২২জন পুলিস আধিকারিক ও তিনজন কনস্টেবেল পদমর্যাদার পুকিশ কর্মীকে সন্মান জানানো হয়। পুলিশ আধিকারিকদের মধ্যে রয়েছেন ১জন এসিপি, ২জন ইন্সপেক্টর, ১৫জন এসআই, ৪ এএসআই।