করোনা সংক্রমণের মহামারীর সময় দূরত্ব বজায় রাখার জন্য শুরু হয়েছিল নতুন পদ্ধতিতে কাজ। শুরু হয়েছিল ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা। কিন্তু এই মহুর্তে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে সংক্রমণ। তাই এবার ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুযোগ-সুবিধা তুলে নিয়ে এবার টেসলার কর্মচারীদের কড়া নির্দেশ দিলেন টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক। ‘হয় অফিসে এসো, না হলে চাকরি ছাড়ো’ এমনই বার্তা দিলেন তিনি। করোনাকালে সামাজিক দূরত্ব মেনে বিশ্বের বাকি সমস্ত সংস্থার মতে টেসলা সংস্থাও তার কর্মচারীদের বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা দিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি মাস্ক সেই সুবিধা তুলে নিতে বদ্ধপরিকর। আর তাই সম্প্রতি একটি ইমেলের মাধ্যমে তিনি তাঁর কর্মচারীদের জানিয়েছেন, টেসলা সংস্থার পক্ষ থেকে work-from-home-এর সুবিধা আর দেওয়া সম্ভব নয়।
সমস্ত কর্মচারীদের এরপর থেকে অফিসে এসেই কাজ করতে হবে। যদি তারা অফিসে আসতে সম্মত না হয় তাহলে তাদের অবিলম্বে চাকরি ছাড়তে হবে। মাস্কের দেওয়া সাম্প্রতিক এই ই-মেল বার্তায় রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে তার সংস্থার কর্মচারীরা। এর সঙ্গেই মাস্ক তাঁর মেলে যোগ করেছেন, ‘এই সংস্থার কোনও কর্মচারীর যদি এমন মনে হয় যে অফিসে এসে কাজ করা অত্যন্ত পুরনো একটি ধারণা তাহলে তারা নির্দ্বিধায় অন্য কোন সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে সেখানে কাজ করতে পারেন।’
এলন মাস্কের এই ইমেল বার্তা ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে একটি ইমেলের মাধ্যমে টেসলা প্রধান তার কর্মচারীদের জানিয়েছেন, ‘অফিস থেকে দূরে থেকে কাজ আর গ্রহণযোগ্য হবে না। যদি কেউ একান্তই অফিস থেকে দূরে বসে কাজ করতে ইচ্ছুক হন তাহলে তাকে সপ্তাহে ন্যূনতম ৪০ ঘন্টা অফিসে থাকতে হবে। সংস্থার কোন কর্মী যদি এই শর্ত মানতে না পারেন তাহলে তিনি যেন টেসলা ছেড়ে চলে যান।’ ওই ইমেল বার্তাতেই মাস্ক আরও উল্লেখ করেছেন, যে সমস্ত টেসলার কর্মচারীকে টেসলার প্রধান অফিসে এসেই রিপোর্ট করতে হবে। সেক্ষেত্রে তারা যদি দূরবর্তী কোনো শাখা অফিসে এসে রিপোর্ট করে তাহলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
উল্লেখ্য, টেসলা সংস্থার কর্মচারীদের সঙ্গে বরাবরই কঠোর মনোভাব পোষণ করেন টেসলা প্রধান ইলন মাস্ক। এই প্রথমবার যে তিনি তাঁর অধীনে কাজ করা কর্মচারীদের ওপর এমন কঠোর নীতি প্রয়োগ করলেন তা কিন্তু নয় এর আগেও এমন বহু বার তাঁকে তাঁর সংস্থার কর্মচারীদের ওপর কঠোর মনোভাব পোষণ করতে দেখা গেছে। বছর খানেক আগেই মাস্ক তাঁর সংস্থার একদল কর্মীকে ক্যান্টিনে গিয়ে কফির লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছিলেন। এইভাবে একসঙ্গে ভিড় করে ক্যান্টিনে যাওয়ার কারণে তিনি সেই সমস্ত কর্মচারীদের তৎক্ষণাৎ চাকরি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।