রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক তথ্য। তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল গতকাল দুপুর ২ টোর মধ্যে তাঁকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। সেই নির্দেশ মেনেই হাজিরা দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। গতকাল এই শুনানিতে তাঁকে তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দিতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ, স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির হিসেব দু সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে। এও জানান হয়েছে, স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির যে হিসেব দেওয়া হবে তারপর কোনও সম্পত্তি সেখানে যুক্ত করতে পারা যাবে না। একই সঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁকে নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী, ছেলে-মেয়ের সম্পত্তির হিসেব দিতে হবে, বিয়ের আগে কত ছিল তাঁর নামে, সেই সব কিছুই।
এদিন এজলাসে উপস্থিত পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের কাছে তাঁর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা সম্পর্কেও জানতে চান বিচারপতি। মানিক জানান, তাঁর জন্ম ১৯৫৪ সালে নদীয়ায়। তিনি বহরমপুরে কলেজ থেকে পাশ করেছেন এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে বিকম, এলএলবি যোগেশ চন্দ্র কলেজ থেকে করেছেন। তিনি এও জানিয়েছেন, ২০১৪ সাল পর্যন্ত যোগেশ চন্দ্র কালেজে অধ্যাপক ছিলেন তিনি। সম্পত্তি বলতে তাঁর নদীয়ায় বাড়ি, কৃষি জমি আছে।আম গাছের বাগান আছে। ৬৫০ স্কোয়ার ফিটের দুটি ফ্লাট আছে।
গতকালই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। নতুন সভাপতি নিযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত পর্ষদ সভাপতির দায়িত্ব সামলাবেন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচী, এমনটাই জানিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। তবে পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ।