তার রাজনীতিতে আসা নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই। বারংবার কথা উঠেছে তার রাজনীতিতে আসা নিয়ে। বিভিন্ন দলীয় মন্ত্রীদের সাথে বৈঠকেও জল্পনা হয়েছে কোন দলে যুক্ত হচ্ছে তিনি। এই সবের মাঝেই এবার মানুষের উপকারে নতুন কিছু করতে চেয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন তিনি যে যে টুইট করেছেন তা বড় কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। মনে করা হচ্ছে তিনি বিসিসিআই সভাপতির পদ ত্যাগ করতে পারেন।
এদিন সৌরভ একটি টুইট করেছেন যেখানে লিখেছেন, ”১৯৯২ সালে ক্রিকেট শুরু করার পর এই বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে আমার ৩০ বছর পূর্ণ হল। শুরু থেকে ক্রিকেট আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে। সবথেকে বড় কথা, আপনাদের সবার সমর্থন দিয়েছে। আমি তাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাতে চাই যারা আমাকে সমর্থন করেছেন, আমার জার্নির সঙ্গে ছিলেন, আমাকে আজ এই জায়গায় আসতে সাহায্য করেছেন। আজ আমি নতুন কিছু করার ভাবনা নিয়েছি যা মনে হয় প্রচুর মানুষের উপকারে আসবে। আশা করব আপনারা আমাকে এই ক্ষেত্রেও সমর্থন করবেন।”
২০২১ বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকে তাঁকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন। গেরুয়া শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্ব একাধিক বার তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন বলেও জানা গিয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে তেমন কিছুই ঘটেনি। অনেকে মনে করেছিলেন যে, বিজেপি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সৌরভকেই চাইছে। তাই প্রবল কৌতূহল বেড়েছিল ‘মহারাজ’কে নিয়ে যে তিনি সত্যিই রাজনীতিতে আসবেন কিনা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলের সঙ্গে তাঁর কাজ, তাই তিনি যে বিজেপিতে যোগ দিতেই পারেন এমন সম্ভাবনা বাড়ছিল। কিন্তু আদতে কিছুই হয়নি। পরে নতুন বছরের শুরুতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, তারপর থেকে তাঁকে নিয়ে রাজনীতির প্রসঙ্গে কথা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এখন আবার সেই জল্পনা বাড়ছে।
কিছুদিন আগেই ‘দাদা’র বাড়িতে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ একাধিক বিজেপি নেতা। রাতে খাবার খান তারা, বেশ কয়েক মিনিট বৈঠকও হয় সকলের মধ্যে। যদিও তার পরের দিনই তৃণমূলের এক অনুষ্ঠান মঞ্চে দেখা গিয়েছিল সৌরভকে। সেখানে বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো। তবে এখন সেসব অতীত। বিসিসিআই সভাপতির টুইট নতুন ইঙ্গিতই দিচ্ছে বটে। তাহলে কি সত্যি রাজনীতিতে আসবেন তিনি? উত্তর দেবেন খোদ সৌরভ। অপেক্ষা এখন চলবে।