ফের আবার তার নিজের ঘরে ফিরছে ঘরের সম্পদ৷ ইতিহাসে পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে এয়ার ইন্ডিয়া ফিরেছে টাটা গোষ্ঠীর হাতে৷ ঋণের ভারে ধুঁকতে থাকা এয়ার ইন্ডিয়কে দু’মাস আগে ১৮,০০০ কোটি টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছেন রতন টাটার সংস্থা৷ গত দেড় বছর ‘মহারাজা’-কে নিয়ে আলোচনার পর আপাতত তা টাটা গোষ্ঠীর হাতে৷ কিন্তু কোন পথে এগোবে এয়ার ইন্ডিয়া? এ বিষয়ে টাটা গোষ্ঠীর তরফে বিশেষ কিছু জানানো হয়নি৷ তবে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছে৷ জানা যাচ্ছে নতুন বছরের শুরু থেকেই এয়ার ইন্ডিয়ার সম্পূর্ণ পরিচালন ভার টাটার হাতে চলে আসবে৷
এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে ‘মহারাজা’র বাগডোর থাকবে এই ক্ষেত্রের দিকপাল ফ্রেড রিডের হাতে। তিনিই হতে চলেছেন এয়ার ইন্ডিয়ার নতুন চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও)। অন্তত সাড়ে তিন দশক উড়ানের অভিজ্ঞতা রয়েছে সম্পন্ন রিডের৷ তিনি হলেন জার্মান এয়ারলাইন্স লুফৎহানসা-র প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট৷ ডেল্টা এয়ারলাইন্সের সিওও পদও দায়িত্ব ও সাফল্যের সঙ্গে সামলেছেন৷ এখানেই শেষ নয়, রিচার্ড ব্র্যানসনের ভার্জিন আমেরিকা সংস্থারও সিইও দপেও বসেছিলেন রিড। তার আরও একটি পরিচিতি রয়েছে৷ তিনি হলেন, এয়ারবিএনবি-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে সার্ফ এয়ার মবিলিটির প্রেসিডেন্ট রিডের সঙ্গে টাটা গোষ্ঠীর সম্পর্ক নতুন নয়। সত্তরের দশকে তাজ গ্রুপ অব হোটেলস-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
এয়ার ইন্ডিয়ার সিইও কে হবেন, তা ঠিক হয়ে গেলেও এখনও একাধিক উচ্চপদস্থ পদ খালি পড়ে রয়েছে। মনে করা হচ্ছে টাটার এয়ার ইন্ডিয়ার চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার বা মুখ্য আর্থিক আধিকারিক হিসাবে বেছে নেওয়া হবে নিপুণ আগরওয়ালকে। ২০১৭ সাল থেকে টাটা গোষ্ঠীতে কর্মরত রয়েছেন নিপুণ। বর্তমানে তিনি রকন টাটার সংস্থায় ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে ফ্রেড রিডের নেতৃত্বে চলছে এয়ার ইন্ডিয়ার খোলনলচে বদলের কাজ৷ রিডের তত্ত্বাবধানে একটি ‘১০০ দিনের পরিকল্পনা’ গ্রহণ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর৷ এই পরিকল্পনার মাধ্যমেই ঠিক করা হবে এয়ার ইন্ডিয়ার বুনিয়াদি পরিষেবার রূপরেখা৷ এর মাধ্যমে সামগ্রিক পরিষেবার মানোন্নয়নের নীল নকশা তৈরি হচ্ছে বলেও ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত৷