রাজ্যে পুরভোটের আগে সরগরম রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি৷ আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতার পুরভোট৷ তার আগে বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে অবগত করতে দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদদের প্রতিনিধি দল৷ একেবারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে খুঁটিনাটি বিষয় তুলে ধরেন তাঁরা৷ তবে সেই দলে ছিলেন না লকেট চট্টোপাধ্যায়৷ যা নিয়ে শরু হয়েছিল কানাঘুষো৷ এবার যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে একাই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন হুগলীর সাংসদ৷ প্রধানমন্ত্রীর দরবারে গিয়ে বাংলার রিপোর্ট পেশ করলেন তিনি৷ নিজের ফেসবুকে সেই ছবিও পোস্টও করেছেন সাংসদ-অভিনেত্রী৷
প্রসঙ্গত, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিতে আপাতত দিল্লিতেই রয়েছেন দলীয় সাংসদরা৷ সংসদের কাজের ফাঁকেই এদিন সোজা প্রধানমন্ত্রীর দফতরে হাজির হন লকেট চট্টোপাধ্যায়৷ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সেরে বাংলার রিপোর্ট তুলে দেন তিনি৷ প্রসঙ্গত, লকেটের দল বদল নিয়ে জল্পনা মাথাচাড়া দিলেও, তা উড়িয়ে দিয়েছেন হুগলীর সাংসদ৷ এরই মধ্যে তাঁকে বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে উত্তরাখণ্ড নির্বাচনে সব পর্যবেক্ষক করা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, বাংলায় বিজেপি সাংসদরা যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন, তখন তিনি উত্তরাখণ্ডে কাজে ব্যস্ত ছিলেন৷ সেই সময় যেতে না পারলেও এদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ সারেন লকেট৷
তবে এর আগে লকেটের বেশ কিছু কার্যকলাপে জল্পনা মাথচাড়া দিয়েছিল৷ সকলকে চমকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। এমনকী ভবানীপুরের মতো হাই ভোল্টেজ কেন্দ্রে উপনির্বাচনে দলের প্রচার থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তিনি। বিজেপির সঙ্গে লকেটের দূরত্ব নিয়ে যখন জল্পনা চলছিল ঠিক সেই সময় তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট তাতে ঘৃতাহুতি দেয়৷ তিনি লিখেছিলেন, ‘তৃণমূলে আসতে চাইলে লকেটকে স্বাগত’৷ যদিও সেই সব জল্পনায় জল ঢাললেন হুগলির সাংসদ৷