একদিনের রোজগারের নিরিখে রেকর্ড গড়ল বেঙ্গল সাফারি। রবিবার সাফারির কোষাগারে জমা পড়ল ১০ লক্ষ ২৩ হাজার টাকা। এদিন ৬ হাজার ৭০০ জন মানুষ এখানে আসেন। একদিনে এত সংখ্যক মানুষের উপস্থিতিতে উচ্ছ্বসিত সাফারি কর্তৃপক্ষ। তাই সোমবারও পার্ক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বেঙ্গল সাফারির ডিরেক্টর ই বিজয়কুমার বলছেন, ‘বড়দিনের ভিড়কেও ছাপিয়ে গিয়েছে এদিনের ভিড়। আশা করছি, আগামী দিনগুলিতেও প্রচুর মানুষ সাফারিতে আসবেন এবং আনন্দে মেতে উঠবেন।’ এদিন টিকিট কাউন্টার খোলার আগে থেকেই দেখা গিয়েছে লম্বা লাইন। বেলা যত বেড়েছে, লাইনও দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয়েছে। ঘড়ির কাঁটা সকাল ১১টার গণ্ডি পেরোতেই বেঙ্গল সাফারির ভিতর থিকথিকে ভিড়। দেখা গিয়েছে বিদেশি এবং ভিনরাজ্যের পর্যটকদেরও। লম্বা লাইন ছিল সাফারির বাসগুলির সামনে। যা সামাল দিতে বেগ পেতে হয় এখানকার কর্মীদের।
দিনের শেষে পরিসংখ্যান সামনে আসতেই স্পষ্ট হল, মানুষের উপস্থিতি এবং রোজগারের নিরিখে রবিবার বেঙ্গল সাফারি অতীতের যাবতীয় রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, আগে একদিনে কখনোই ছয় হাজার মানুষের আগমন ঘটেনি এখানে, তেমনই হয়নি ১০ লক্ষ টাকা রোজগারও। সাফারির বাসের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য রোজগারও বেশি হচ্ছে বলে মনে করছেন সাফারির ডিরেক্টর। গত বছর উৎসবের দিনগুলিতে বা এইসময় সাফারির জন্য ছিল ১২টি বাস। কিন্তু বর্তমানে ১৫টির বেশি বাস রয়েছে। লায়ন সাফারি শুরু হলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ আসবেন বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। লায়ন এনক্লোজারের কাজ প্রায় শেষপর্যায়ে। আগামী এক মাসের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষের পরিকল্পনা রয়েছে। ওই কাজ শেষ হলে এবং সেন্ট্রাল জু অথরিটি অনুমতি দিলে বেঙ্গল সাফারিতে শুরু হবে লায়ন সাফারি।