হরিশ্চন্দ্রপুরে গভীর রাতে বোমাতঙ্ক, আতঙ্কে গোটা গ্রাম

হরিশ্চন্দ্রপুরে গভীর রাতে বোমাতঙ্ক। স্ত্রীর বাড়িতে বোমা ফেলার অভিযোগ প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধে। আতঙ্কে গোটা গ্রাম। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ঝিকোডাঙ্গা গ্রামে। গোটা ঘটনায় তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে গতকাল রাত্রি এক টা নাগাদ পরপর দুটি বোমার শব্দে কেঁপে ওঠে ঝিকো ডাঙ্গা গ্রাম। ওই গ্রামের বাসিন্দা হালিমা পারভীন এর বছর দশেক আগে বিয়ে হয়েছিল পার্শ্ববর্তী গ্রাম রহমতপুরের রহিম আলীর সঙ্গে। এরপরে দুই বছর আগে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। তাদের দুই সন্তান রয়েছে। বর্তমানে তারা রহিম এর কাছে থাকে। অভিযোগ  ডিভোর্সের পর থেকেই রহিম আলীর তরফ থেকে হালিমাকে ক্রমাগত হুমকি দেওয়া হতে থাকে। এমনকি প্রাণে মেরে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া থাকে রহিমের পক্ষ থেকে। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার গন্ডগোলও হয়। বর্তমানে হালিমা ঝিকো ডাঙ্গার বাবার বাড়িতে আছেন। গতকাল রাত্রি এক টা নাগাদ হঠাৎ করে পরপর দুটি বোমার আঘাতে কেঁপে হালিমার বাড়ি। বাড়ির লোকেরা বাইরে এসে দেখতে পান তাদের এবং তাদের পাশের এক কাকার বাড়িতে বোম মারা হয়েছে। এরপরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

হালিমা বলেন আমি বোমার আওয়াজে বাইরে এসে দেখতে পাই আমার প্রাক্তন স্বামী দৌড়ে পালিয়ে যাচ্ছে। আমাকে প্রাণে মারার জন্যই এই বোমাটা ফেলেছে। ডিভোর্সের পর থেকে ক্রমাগত আমাকে হুমকি দিচ্ছে মেরে ফেলার । বিয়ের পর থেকে আমার উপর ক্রমাগত অত্যাচার করত আমি কাউকে বলতাম না তারপরে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আমি ডিভোর্স দিয়েছি। এখনো আমার পিছু ছাড়ছে না। আমি এর আগেও থানায় অভিযোগ করেছিলাম কিন্তু কোন ব্যবস্থা হয়নি।

যদিও সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন রহিম আলী। তিনি জানান ওর সঙ্গে আমার ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। তারপর থেকে কোন সম্পর্ক নেই । হুমকি দেওয়ার অভিযোগ সম্পন্ন ভিত্তিহীন। আমি কালকে রাত্রে আমার সন্তানদের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলাম। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসাবার জন্য এই ধরনের অভিযোগ তুলেছে। এদিকে এই ঘটনার পরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। গোটা ঘটনা তদন্ত নেমেছে পুলিশ।