বর্ষার আগমন ঘটেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। মূলত উত্তরাঞ্চলে বেশিভাগ বৃষ্টির শুরু হয়েছে। প্রবল বর্ষণে ফের বিপর্যস্ত অসমের জনজীবন। চলতি সপ্তাহের প্রথম থেকেই ফের অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে। আর এই প্রবল বৃষ্টির জেরে একের পর এক ধস নামছে বিভিন্ন এলাকায়। জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি অসমের গোয়ালপাড়া এলাকায় এমনই এক ধসের জেরে দুই শিশুর বাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে।
ইতিমধ্যেই ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। উল্লেখ্য গত তিনদিনে অসমে এই নিয়ে মোট ছয়জনের মৃত্যু হল ধসের কারণে। জানা যাচ্ছে এই রাজ্যে যে পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে আগামীতে আরও বড় বন্যা পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে চলেছে অসম। আগের বৃষ্টির কারণেই এখনও অসমের বেশ কয়েকটি গ্রাম জলমগ্ন। তার মধ্যেই রাজ্যজুড়ে ফের শুরু হয়েছে অতি ভারী বৃষ্টি। আর এই অতিবৃষ্টির কারণেই রাজধানী গুয়াহাটিসহ বিভিন্ন জেলায় নামছে একের পর এক ধস।
জানা যাচ্ছে বৃহস্পতিবার সকালে ওই দুই মৃত শিশুর দেহ উদ্ধার করেছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিকরা। মৃত ওই দুই শিশু একই পরিবারের সন্তান এবং সম্পর্কে ভাইবোন বলে জানা যাচ্ছে। গোয়ালপাড়া এলাকায় বুধবার রাতে প্রবল বৃষ্টির কারণে ধস নামায় জীবিত অবস্থায় তারা বাড়ির ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে যায় এবং তাতেই তাদের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য চলতি বছরে এই নিয়ে মোট ৪৪ জনের মৃত্যু হল অসমের বন্যা পরিস্থিতির কারণে। বিপর্যস্ত মানুষকে উদ্ধার করতে নৌকা নামিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজ শুরু করেছে স্থানীয় উদ্ধারকারী দল এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বিপদসংকুল এলাকাগুলো থেকে মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সকালে মেঘালয়ের জাতীয় সড়কের একাংশেও ধস নেমেছে বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধসের কারণে ওই জাতীয় সড়কের ঠিক মধ্যিখানে একটি ট্রাক গর্তের মধ্যে ঢুকে যায়, যার জেরে বিঘ্নিত হয়েছে যান চলাচল। এই ঘটনায় যদিও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে এইভাবে জাতীয় সড়কের উপরে ধস নামার কারণে বেশ কিছুক্ষণ যানবাহন পরিষেবা পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হয়েছে।