নতুন রাষ্ট্রপতির মনোনয়ন পত্র জমা দিতে আজই দিল্লি যাচ্ছেন লালু

শেষ হতে চলেছে কার্যকাল। ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ৫ বছরের কার্যকালের মেয়াদ শেষের মুখে। রামনাথ কোবিন্দের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৫ জুলাই। আর তা ঠিক আগেই আগামী ১৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। ইতিমধ্যেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই কথা জানানো হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। এমনকি আগামী ১৫ তারিখের মধ্যেই রাষ্ট্রপতি মনোনীত পদপ্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমতাবস্থায় জানা যাচ্ছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়তে চলেছেন লালু প্রসাদ যাদব। সূত্রের খবর কমিশনের নির্ধারিত ১৫ জুনের মধ্যেই তিনি মনোনয়ন জমা দিতে দিল্লি পৌঁছতে পারেন। ইতিমধ্যেই সমস্ত তোরজোড় সাঙ্গ হয়েছে।

তবে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে লড়তে যাওয়া এই লালু প্রসাদ যাদব কিন্তু ভিন্ন দুই ব্যক্তি। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দিতে চাওয়া লালুপ্রসাদ আসলে বিহারের সারণের বাসিন্দা। এই নিয়ে পরপর দুবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন সারণের বাসিন্দা এই লালু। জানা যাচ্ছে ২০০৭ সালেও দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু পর্যাপ্ত সমর্থন না থাকার কারণে সেই মনোনয়ন রদ হয়ে যায়। কিন্তু তাতেও ইচ্ছা কোন অংশেই কমেনি সরণের বাসিন্দা লালুপ্রসাদের। আর তাই পাঁচ বছর পর ফের কোমর বেঁধে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য দিল্লি যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই তিনি ১৫ তারিখের দিল্লি যাওয়ার বিমানের টিকিট কেটে ফেলেছেন।

তবে শুধু রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য নয়, দেশ পরিচালনায় শামিল হওয়ার জন্য লালুপ্রসাদ যাদব এর আগে লোকসভা থেকে বিধানসভা এমনকি নগর পঞ্চায়েত, শিক্ষকদের নির্বাচন, জেলা ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন, কোনও নির্বাচনই বাকি রাখেননি। জানা যাচ্ছে সারণের বাসিন্দা এই লালু প্রসাদ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন, ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচন, ২০১৬ সালের সাধারণ নির্বাচন, ২০২০ সালের শিক্ষকদের নির্বাচন এবং সম্প্রতি ২০২২ সালে সারণের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তাঁর ভাগ্যের শিকে কোন বারেই ছেঁড়েনি। এখন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তার মনোনয়ন গ্রাহ্য হয় কিনা সেটাই দেখার।