পুরোপুরি ঘুরে গেলো ঘটনা, আটকে গেলো দিল্লি যাওয়া। এক তৃণমূল কর্মীর গলা টিপে ধরেছিলেন তিনি৷ ওই তৃণমূল কর্মীকে ‘খুনের চেষ্টা’র অভিযোগে একদিন আগেই একটি মামলা দায়ের করা হয়৷ সেই মামলাতেই এবার বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল দুবরাজপুর আদালত। তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এর অর্থ, এখনই অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে না ইডি৷
কেষ্টকে আসানসোল সংশোধনাগারে গিয়ে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। এরপরেই তাঁকে দুবরাজপুর আদালতে তোলা হয়। অনুব্রতর বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মীকে ‘খুনের চেষ্টা’র অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। সেই মামলাতেই তৃণমূল জেলা সভাপতিকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে দুবরাজপুর আদালত। গরু পাচার মামলায় বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চেয়েছিল ইডি।
সোমবারই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা- কে সেই অনুমতি দেয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। আদালত জানায়, প্রয়োজনে অনুব্রতকে রাজধানীতে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি। এর মাঝে হঠাৎ করে অনুব্রতকে অন্য একটি মামলায় আদালতে পেশ করানোর ঘটনাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছিল। মঙ্গলবার দুবরাজপুর আদালতের বিচারক কেষ্টকে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়ায় তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধার মুখে পড়তে হল ইডি-কে।