গঙ্গারামপুরের কাদিহাট বেলবাড়ী হাই স্কুল ছাত্র-ছাত্রীদের যত্নশীলতার জন্য বিশেষ পুরস্কার পেল

 ছাত্র ছাত্রীদের যত্নশীলতার জন্য “The Telegraph School awards for excellence” পুরস্কার পেলো গঙ্গারামপুরের কাদিহাট বেলবাড়ী হাই স্কুল । ১৮ নভেম্বর সোমবার শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন The Telegraph Foundation (TTF) এর কর্মকর্তারা ।

১৮ নভেম্বর সোমবার শিলিগুড়ি দীনবন্ধু মঞ্চে দ্য টেলিগ্রাফ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । বিভিন্ন স্কুল গুলোর মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যেমন এক্সিলেন্স, আউটস্ট্যান্ডিং স্পোর্টস, ছাত্র-ছাত্রীদের কিভাবে কেয়ার নেয়া হয় এরকম বিভিন্ন বিভাগে প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান হয় । সেই প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের জন্য সমস্ত তথ্য আবেদনকারী স্কুলগুলো থেকে আগেই সংগ্রহ করেছিল দ্যা টেলিগ্রাফ ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ । এই প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে “The Telegraph School Awards for Excellence” পুরস্কারের “The Caring Minds Award for A School that Cares” বিভাগে সেরা স্কুলের পুরস্কার পায় গঙ্গারামপুরের কাদিহাট বেলবাড়ী হাই স্কুল (উ: মা:) । বিদ্যালয়ে আধুনিক পরিকাঠামো যুক্ত উন্নত মানের শিক্ষাদানের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সর্বদা মূল্যবোধের শিক্ষাদান করার জন্য এ ধরনের পুরস্কারপ্রাপ্তি বলে মনে করছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ।

এ বিষয়ে কাদিহাট বেলবাড়ী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা শিক্ষারত্ন ড. পার্থ সরকার জানান, “শিলিগুড়ির দীনবন্ধু মঞ্চে টেলিগ্রাফ ফাউন্ডেশনের (The Telegraph Foundation) পক্ষ থেকে আমাদের স্কুল একটি পুরস্কার পেয়েছে । সেখানে আমরা যে বিভাগে পুরস্কার পাই তার নাম “The Caring Minds Award for A School that Cares” । আমাদের বিদ্যালয়ে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসে তাদের আমরা ক্লাস ফাইভ থেকেই পরিচর্যা করি । তাদেরকে উন্নতমানের, আধুনিকমানের শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয় । আমাদের বিদ্যালয়ে ডিজিটাল বোর্ড, ডিজিটাল ক্লাসরুম থেকে শুরু করে তাদেরকে নাচ-গান বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটি এবং তাদেরকে মূল্যবোধের শিক্ষা সেটাও আমাদের বিদ্যালয় শিক্ষক-শিক্ষিকারা যথেষ্ট ভাবে দেয়ার চেষ্টা করে । এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই এই প্রতিযোগিতায় আমরা সিলেকশনটা পাই এবং পুরস্কার পাই । পুরস্কার পেয়ে নিঃসন্দেহে খুব ভালো লাগছে । কারণ যে কোন পুরস্কারই ভালোলাগার, সেটা যদি বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে হয় তাহলে আরো ভালো লাগে । আমরা সবাই গর্বিত । আগামী দিনের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল । ছাত্রছাত্রীদেরকে যেনো আরো ভালো তৈরি করতে পারি সে চেষ্টাই বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে থাকবে ।”