শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় নিয়োগ ইস্যু নিয়ে রাজ্য এখন তোলপাড়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর এই নিয়ে আলোচনা যেন আরো কয়েকশো গুন বেড়ে গিয়েছে। কলকাতার রাস্তায় এখনও পর্যন্ত চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করছেন।
যদিও সম্প্রতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধি দলের একটি বৈঠক হয়েছে যা ইতিবাচক বলেই জানা গিয়েছে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ব্রাত্য বসুও। নিয়োগ ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিলেন তিনি।
শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, প্রধান সচিব, বোর্ডের সভাপতি, বোর্ডের সেক্রেটারি, স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সকলে মিলে তাদের একটি আলোচনা হয়েছে দ্রুত নিয়োগ নিয়ে এবং সেই আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি হেডমাস্টার পদে নিয়োগ সহ যে প্রায় ২১ হাজার নিয়োগ বাকি রয়েছে তা দ্রুত সম্পন্ন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী।
তিনি স্পষ্টভাবে জানান, আপার প্রাইমারি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর ক্ষেত্রে নিয়োগ নিয়েই আলোচনা হয়েছে এদিন। তিনি আরো বলেন, আইনহীন সহানুভূতি হয় না। গতদিনের যে বৈঠক ছিল তা তাঁর রাজনৈতিক নেতার নেতৃত্বে হয়েছে এবং তিনি বিষয়টিকে সহানুভূতি দিয়ে দেখছেন। যদিও এই বিষয়ে আজকে একটিও আলোচনা হয়নি। তবে আগামী ৮ আগস্ট যে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তাতে তিনি যোগ দেবেন বলেই জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
পাশাপাশি তিনি একটা বিষয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, বেআইনিভাবে কিছুই করতে চাওয়া হচ্ছে না। সেই কারণেই আলোচনা করে আইনিভাবে দ্রুত নিয়োগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে এবং আশা করা হচ্ছে নির্দিষ্ট পদে নিয়োগ খুব তাড়াতাড়ি সম্ভব হবে। আইনি প্রক্রিয়া কী আছে নিয়োগ সংক্রান্ত সেটা নিয়েই আগামী বৈঠক হবে। যদিও শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন যে এসএসসি আন্দোলনকারীরা আগামী বৈঠকের জন্য একটি চিঠি দেবে বলেছিল, কিন্তু সেই চিঠি তিনি এখনো পাননি। তবে আশা করছেন দ্রুত পাবেন।