রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বারংবার। SLST, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই জয়েন্ট ডিরেক্টর অথবা ডিজি পদমর্যাদার অধিকারীদের দিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ‘চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা লাইনটি উদ্ধৃত করেই এই নির্দেশ দেন বিচারপতি।
SLST নবম-দশমের ইতিহাসের শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আজ। আদালত জানিয়েছে, নিরপেক্ষ সংস্থা যা রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে নেই, তা দিয়ে তদন্ত হবে। সিবিআই ডিরেক্টর নিয়ে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। জয়েন্ট ডিরেক্টরের নেতৃত্বে কমিটি কাজ করবে। কার নির্দেশে সুপারিশ হয়েছিল, সেটা অনুসন্ধান করতে হবে। বেনিয়ম এবং দুর্নীতির তদন্ত করতে হবে। আদালতের বক্তব্য, কলকাতা পুলিশ বা রাজ্যের পুলিশ তদন্ত করতে পারে। কিন্তু তারা যেহেতু রাজ্যের অধীনে তাই নিরপেক্ষ তদন্ত দরকার।
পাশাপাশি জানান হয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি ঘটনায় যাঁরা যাঁরা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত আছেন তাঁদের এবং টাকার বিনিময়ে চাকরি যাঁরা দিয়েছেন তাঁদের খুঁজে বার করবে সিবিআই। পাঁচ জনের বিরুদ্ধে কড়াভাবে তদন্তের নির্দেশ। যে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তারা ২০১৯ সালের নিয়োগে কমিটিতে ছিলেন। শান্তি প্রসাদ সিনহা, এস আচার্য, পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়, এ কে সরকার, টি পাজার সেই কমিটি নজরদারিতে সুপারিশ হয়েছিল। তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখবে সিবিআই।