ভারতীয় দলের কোচ গৌতম গম্ভীর তাঁর কাজ শুরু করে দিয়েছেন। ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং কোচ তিনিই বেছে নেবেন। কিন্তু ফিল্ডিং কোচ হিসাবে গম্ভীর যাঁর নাম প্রস্তাব করেছিলেন, বোর্ড তাঁকে নাকচ করে দিয়েছে। শোনা যাচ্ছে সহকারী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে গম্ভীরকে দেওয়া হয়েছে শর্ত। কাজ শুরু করেই গম্ভীর ধাক্কা খেলেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পরেই রাহুল দ্রাবিড় দায়িত্ব ছেড়ে দেন। তাঁর জায়গায় গম্ভীরকে কোচ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও তাঁর সহকারী কারা হবেন, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। গম্ভীর ফিল্ডিং কোচ হিসাবে জন্টি রোডসের নাম প্রস্তাব করেছিলেন বলে শোনা গিয়েছে। কিন্তু তা মেনে নেয়নি বোর্ড। এক ইংরেজি দৈনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, বোর্ড গম্ভীরের সহকারী হিসাবে ভারতীয় কোচদেরই চাইছে।
দ্রাবিড়ের সহকারী হিসাবে ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠৌর ছিলেন, বোলিং কোচ পরশ মামব্রে এবং ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ। তাঁদের সকলেরই মেয়াদ শেষ হয়েছে। দ্রাবিড়ের মতো গম্ভীরের সব সহকারীও ভারতীয় হোন, এমনটাই চাইছে বোর্ড। সে ক্ষেত্রে বোর্ড চাইলে টি দিলীপকে ফিল্ডিং কোচ হিসাবে রেখে দিতেই পারে।
দ্রাবিড় দায়িত্ব ছাড়ার পর কোনও ভারতীয়কেই চাইছিল বোর্ড রোহিত শর্মাদের হেড কোচ হিসাবে। এ বার তাঁর সহকারী হিসাবেও ভারতীয়দের চাইছেন জয় শাহেরা। যদিও গম্ভীরকে কোচ করার সময় বোর্ড জানিয়েছিল, তিনি যাঁদের বেছে নেবেন, তাঁদের দায়িত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু গম্ভীর শুরুতেই ধাক্কা খেলেন। বিদেশি কোচ চাওয়ায় তাঁর আবেদন নাকচ করে দিল বোর্ড। এর আগে দ্রাবিড় এবং রবি শাস্ত্রী নিজেদের সহকারী হিসাবে যাঁদের চেয়েছেন, তাঁদের পেয়েছেন। গম্ভীরের ক্ষেত্রেই অন্যথা হল।
গম্ভীর এমন একটি দলের দায়িত্ব নিয়েছেন যারা সদ্য বিশ্বকাপ জিতেছে। ফলে কাজটা কঠিন গম্ভীরের। কারণ সমর্থকেরা আশা করবেন খেতাব ধরে রাখবে দল। তাঁকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি রয়েছে পরের বছর। তার পর আরও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে হবে। ২০২৭ সালে রয়েছে এক দিনের বিশ্বকাপ। এ ছাড়াও বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালও রয়েছে পরের বছর। ক্রিকেটার হিসাবে টি-টোয়েন্টি এবং এক দিনের বিশ্বকাপজয়ী গম্ভীর চাইবেন কোচ হিসাবেও একাধিক ট্রফি জিততে।