নতুন রিপোর্টে আশার আলো দেখছে ভারত

বিগতো কদিন নিম্নমুখী ছিলো সংক্রমনের সংখ্যা। কিন্তু এবার ধীরে ধীরে বাড়ছে সংক্রমনের সংখ্যা। আবার বাড়ছে চিন্তা বিগত কদিনের সংক্রমণের সংখ্যা নিয়ে। বিগত কয়েক সপ্তাহে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দেশে তাতে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে খুব তাড়াতাড়ি করোনা চতুর্থ ঢেউ আসবে। একাধিক গবেষণায় এও দাবি করা হয়েছে যে, আগামী জুন-জুলাই মাসেই ভারতে আছড়ে পড়বে কোভিডের নতুন ঢেউ। সেই নিয়ে আতঙ্ক বহাল এখনও। কিন্তু সম্প্রতি এক নতুন রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে, করোনার যে নয়া রূপ অর্থাৎ ওমিক্রন এই চতুর্থ ঢেউ আনবে বলে মনে করা হচ্ছে তার বাড়বাড়ন্ত বেশি হবে না ভারতে। আসলে ওমিক্রনের দুটি রূপের মিশ্রণ নিয়ে ভয় ছিল, যাকে হাইব্রিড কোভিড বলা হচ্ছে।

‘ইন্ডিয়ান সার্স-কোভ-২ জেনেটিক্স কন্সরটিউম’ বা INSACOG রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, হাইব্রিড কোভিড খুব কম হচ্ছে দেশে। মূলত ওমিক্রন বিএ.১ এবং বিএ.২-এর যুগ্ম সংক্রমণের ফলে যে ‘এক্সই’ রূপ তৈরি হয়েছে তা খুব একটা বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে না ভারতে। তাই অনুমান করা হচ্ছে, এইভাবেই যদি পরবর্তী বেশ কয়েক সপ্তাহ যায় তাহলে এই নয়া রূপ সেভাবে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না ভারতবর্ষে। তাহলে যে চতুর্থ ঢেউয়ের কথা বলা হচ্ছে তাও আসার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাচ্ছে। আবার এও দাবি করা হচ্ছে, কয়েক মাস আগে দেশে যেহেতু অনেক মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছে তা নতুন করে হাইব্রিড কোভিড তাঁদের ওপর খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। তাহলে কি আর করোনা চতুর্থ ঢেউয়ের ভয় নেই? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সতর্ক থাকাই সবথেকে বেশি শ্রেয়। পরিস্থিতি কখন বদলে যায় তা বোঝা যায় না।

এদিকে গত সপ্তাহ থেকেই দেশজুড়ে ফের হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। প্রায় প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার অ্যাক্টিভ কেস এবং পজিটিভিটি রেট। এর জেরে দেখতে দেখতেই আজ দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে তিন হাজারের ঘরে। বুধবারের থেকে এক ধাক্কায় প্রায় চারশো বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। এই মুহূর্তে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে রাজধানী দিল্লি।