সম্প্রতি বার্ষিক সভা আয়োজিত হয় রাষ্ট্রপুঞ্জে। সেখানেই ব্যাপক ভাবে আক্রমন করা হয় পাকিস্তানকে। আক্রমন করা হয় ভারতের তরফে। সন্ত্রাসবাদ ইস্যু থেকে শুরু করে কাশ্মীর পরিস্থিতি পাকিস্তানের ওপর একাধিক আরোপ না হয়। রাষ্ট্রপুঞ্জে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বক্তব্য রাখেন এবং আফগানিস্তান ইস্যুতে তালিবানকে সমর্থন করার বার্তা দেন। এদিকে আবার আফগানিস্তান ইস্যুতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাষ্ট্রপুঞ্জের আবেদন করেছেন, দেশের জনগণের স্বার্থে জনসভায় তালিবান সরকারকে সমর্থন করে এবং তাদের স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। তিনি দাবি করেছেন, সবাই যদি আফগানিস্তানকে অবহেলা করে তাহলে পরিস্থিতি আরো জটিল হবে তাই প্রত্যেক দেশের উচিত আফগানিস্তানের মানুষের পাশে দাঁড়ানো এবং সেখানকার সরকারকে শক্তিশালী করা।
তাঁর বক্তব্যের পরই ভারতের কূটনীতিক স্নেহা দুবে পাকিস্তানকে চরম আক্রমণ করেন। এদিন তিনি বলেন, ভারত সম্পর্কে ভুল তথ্য দেয় পাকিস্তান এবং রাষ্ট্রপুঞ্জকে বিভ্রান্ত করে। তারা যে জঙ্গিদের সরাসরি সমর্থন করে সেটা গোটা বিশ্ব জানে। বন্ধুত্বপূর্ণ পরিস্থিতি যদি তৈরি করতে হয় তাহলে ভারতকে নয়, পাকিস্তানকে সচেতন ভাবে কাজ করতে হবে। গোটা বিশ্ব জানে পাকিস্তানের ভূমিকা কী সন্ত্রাসবাদের পেছনে। কিন্তু বারবার পাকিস্তান চেষ্টা করে যাতে তাদের দিক থেকে নজর ঘুরিয়ে ভারতকে আক্রমণ করা যায় এবং এই সুযোগে বিভিন্ন দেশে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দেওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, চলতি সপ্তাহেই ইমরান দাবি করেছিলেন, সার্কের বৈঠকে আফগানিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করুক তালিবান। কিন্তু সেই দাবি মানতে চায়নি ভারত সহ সার্কের অন্যান্য সদস্য দেশ।