সদ্য কিছুদিন হলো সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ সামলে উঠছে দেশ৷ তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে বিশ্ব যখন ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে তখন ফের এল অশনি সংকেত৷ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ফের সক্রিয় হচ্ছে করোনা ভাইরাস৷ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই ফনা তুলছে করোনা৷ কিন্তু কোথায়? জানা গিয়েছে, করোনার ‘আঁতুর ঘর’ চিনে ফের সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত৷ বেশকিছু দিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও আবার চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করোনা৷ আর তার জেরেই আরও একবার লকডাউনের পথে হাঁটছে চিন৷
প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের তুলনায় ভয়াবহতা কিছুটা কমলেও বিশ্বজুড়ে বহাল ছিল কোভিডের দাপট৷ এরই মধ্যে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগে চিন৷ শুক্রবার উত্তর-পূর্ব চিনের শিল্পনগরী চাংচুনে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে শহরের প্রায় ৯০ লক্ষ মানুষ গৃহবন্দি হয়েছেন।
কোভিডের বিরুদ্ধে চিন আপাতত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি নিয়ে চলেছে। অর্থাৎ, যেখানেই করোনা সংক্রমণ ধরা পড়বে সেই অংশেই লকডাউন করা হবে। পাশাপাশি কঠোর করোনা বিধি মেনে চলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে৷ চিন প্রশাসনের তরফে বলে হয়েছে, বাড়ি থেকে বের হলেই প্রত্যেককে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে৷ এছাড়াও সংক্রমণ রুখতে সমস্ত যান চলাচল ও ব্যবসাবাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হয়েছে।
গত ২ বছরে বৃহস্পতিবারই প্রথম চিনের চাংচুন শহরে হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত রোগীর হদিশ মিলেছে৷ এর পরেই সেখানে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। উল্লখ্য, জিলিন প্রদেশের রাজধানী হল চাংচুন। এটি চিনের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পশহরও বটে৷ অতীতের মতো করোনা যাতে আর থাবা বসাতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে তৎপর প্রশাসন৷