চলতি বছরের বর্ষার আগমনে ঘটেছে সময়ের কিছু আগে। কিন্তু বর্ষার আগমনের সাথে সাথে দেখা মিলেছে একাধিক নিম্নচাপের। একের পর এক নিম্নচাপের ভ্রুকুটি দেখা দিয়েছে বাংলার ওপরে। এই পরিস্থিতিতে চলতি সপ্তাহের শুরুতেই নিম্নচাপ নিয়ে আগাম সতর্কতা দেওয়া ছিল। শুক্রবার সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে বাংলায়।
বিকেলের পর হাওয়ার দাপট এবং বর্ষণ একটু হলেও বেড়েছে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে সন্দেশখালিতে ৩০ সেকেন্ডের মতো টর্নেডো হয়েছে তাতেই অধিকাংশ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ। অন্যদিকে রাত থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে দক্ষিণ ও পশ্চিমের জেলাগুলিতে, এই পূর্বাভাস মিলেছে।
ওড়িশা উপকূলে ঘনীভূত হওয়ার নিম্নচাপের জেরে কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে সুন্দরবনের সন্দেশখালি। পাঁচশোর বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কোনও বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে, আবার কোনও বাড়ির দেওয়াল ভেঙে গিয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
এদিকে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, অতি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে এবং তার জন্যই প্রবল বৃষ্টি চলবে। পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলও বাদ যাবে না। মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। একাধিক জায়গায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এও জানান হয়েছে, কমপক্ষে ৭০ কিমি বেগে ঝড় বইতে পারে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে তা বালাসোর এবং সাগরের মধ্যে দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূল পার করবে। ল্যান্ডফলের পর পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। বাংলার দিকে তার অভিমুখ নেই। তা চলে যাবে ছত্তিশগড়ের দিকে। ইতিমধ্যেই অবশ্য ঘটে গিয়েছে দুর্ঘটনা। জানা গিয়েছে, ইলিশের খোঁজে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন কাকদ্বীপ-নামখানা এলাকার কয়েকজন মৎসজীবী। তারাই এখন নিখোঁজ। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে ট্রলারডুবি হয়েছে।