দেশ জুড়ে পেট্রল ডিজেলের দাম মহার্ঘ্য, যা নিয়ে দেশ জুড়ে চলছে একাধিক অভিযোগ। পেট্রোল ও ডিজেলের উপর ভ্যাট কমিয়েছে ২২ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। এখনও ১৪ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। ঘটনাচক্রে যে কটি রাজ্য এখনও জ্বালানি তেলের উপর ভ্যাট কমায়নি, সেই সবকটি রাজ্যই অ-বিজেপি বা বিরোধী শাসিত রাজ্য। শুক্রবার রাতে নজিরবিহীনভাবে আলাদা করে এই রাজ্যগুলির তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক। এই রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্র, কেরল, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, ছত্তিশগড়, পঞ্জাব, রাজস্থান, দিল্লি, মেঘালয়, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, আন্দামান নিকোবর, তেলেঙ্গানা।
দিপাবলীর ঠিক আগেই সাধারণ মানুষকে বড় স্বস্তি দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার জ্বালানির দাম প্রসঙ্গে বড় ঘোষণা করেছিল। পেট্রোল এবং ডিজেলের লিটার প্রতি আবগারি শুল্ক যথাক্রমে ৫ টাকা এবং ১০ টাকা কমানো হয়েছে। দিপাবলীর দিন থেকেই এই নিয়ম কার্যকরী। লিটার প্রতি সবথেকে বেশি পেট্রোলের দাম কমানো হয়েছে কর্ণাটকে (১৩.৩৫ টাকা), তারপর রয়েছে পুদুচেরি (১২.৮৫ টাকা) এবং মিজোরাম (১২.৬২ টাকা)। এই রাজ্যগুলিতে সব থেকে বেশি দাম কমানো হয়েছে ডিজেলেও। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফ জানানো হয়েছিল, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও উন্নত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিয়ে পেট্রোল এবং ডিজেলের আবগারি শুল্ক কমিয়েছে। দেশের গরীব এবং সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের চাপ কমানোর লক্ষ্যে সরকারের এবং সেই প্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যদিও কংগ্রেস এবং তৃণমূল বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে বলেছে, ১৪টা বিধানসভা এবং ২টি লোকসভা হারার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি সরকার, তার আগে উত্তরোত্তর দাম বাড়ানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত মন থেকে নেওয়া নয়। ভয় থেকে নেওয়া। তৃণমূল নেতা যশবন্ত সিনহা বলেছেন, নাগরিকদের কোটি কোটি টাকা লুট করার পর মাত্র কয়েক টাকা স্বস্তি দেওয়া হচ্ছে।