একটা সময়ে শীতের রাতে কাঁথা গায়ে দিয়েই রাত কাটাতে হয়েছে। অভাবের সংসারে খুব কাছ থেকেই শীতের রাতের কষ্ট উপভোগ করতে হয়েছিল নিরঞ্জন হালদারকে। প্রায় ৩২ বছর ধরে জলপাইগুড়ি সরকারি হাসপাতালে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন নিরঞ্জন হালদার। অতীতে কঠিন কঠোর দারিদ্র্যতার কথা মনে রেখেই দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নীরবে ফি বছর শীতে গরিব মানুষদের একটু উষ্ণতার ছোঁয়া দিতে কম্বল বিতরণ করে চলেছেন তিনি।
এবছরেও শীত পড়তেই পথে নেমেছেন তিনি। একটু রাতের দিকে শীতের মধ্যে জলপাইগুড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় টোটো নিয়ে ঘুরে ঘুরে কম্বল বিতরণ করতে দেখা গেল তাঁকে।
আত্ম প্রচার বিমুখ এই চিকিৎসকের কথায়, ” এ আর এমন কি! অনেকেই এমন কাজ করেন। আমি আমার সাধ্যমত শীতের হাত থেকে গরিব মানুষদের বাঁচাতে কম্বল বিতরণ করছি।”
শুধুমাত্র শীত বস্ত্রই নয়, দুর্গা পুজোর আগেও দুঃস্থ শিশু ও কিশোর কিশোরীদের হাতে পুজোর নতুন জামা কাপড় তুলে দেন তিনি। তাঁর এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।