বহু সময় ধরে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কোভিড আবহে থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’। এই নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক ছিল। তাও অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল এবং কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় খুলে যাওয়ায় সেই বিতর্ক একটু কমেছে। কিন্তু ছোটদের স্কুল না খুলে এই কর্মসূচি হচ্ছে বলে এখন প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ এই নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে ইতিমধ্যেই।
সংগঠনের বক্তব্য, ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ শেষ পর্যন্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাস্তব পরিস্থিতি অনুযায়ী এ ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। কোথাও কোথাও মাঠে, কোথাও বা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার বেশিরভাগ জায়গায় রোদে গরমে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ নাজেহাল। বহু ক্ষেত্রে অব্যবস্থাও চোখে পড়ার মতো। এভাবে চলতে থাকলে এমনিতেই অসুস্থ হয়ে পড়বে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ। এভাবে শিক্ষা চলতে পারে না।
বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণে, বারান্দায় যদি পাঠশালা চলতে পারে তাহলে শ্রেণিকক্ষে কেন চালানো যাবে না। এই প্রশ্ন তাদের। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের অনুরোধ, ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ পরিকল্পনাটি প্রত্যাহার করে অতি দ্রুত সকল ছাত্র-ছাত্রীর জন্য নতুন শিক্ষাবর্ষের প্রথম থেকেই শ্রেণিকক্ষে পঠন-পাঠন শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হোক। তাদের বক্তব্য, বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন পঠন পাঠন বন্ধ থাকায় অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।
এদিকে আবার স্কুল খোলা নিয়ে মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে৷ মামলাকারী পক্ষের আইনজীবী ঋজু ঘোষাল বলেছেন, অনেক ছাত্র আছে যারা স্কুলে গেলেও বয়সের মাপকাঠির বাইরে থাকায় ভ্যাকসিন পাচ্ছে না। তাদের কী হবে? অনেক স্কুল তো ১০০% উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছে৷ এর পরেই প্রধান বিচারপতি জানতে চান, এমন কত ছাত্র আছে? অ্যডভোকেট জেনারেল জানান, যিনি মামলাকারী তিনি অভিভাবক নন। তিনি বীরভূম জেলার মানুষ। নিউটাউনের একটি স্কুলের বিজ্ঞপ্তির কথা বলা হয়েছে। যে আবেদন করা হয়েছে তা খুবই বিপজ্জনক৷ শুনানি শেষে স্কুল খোলা নিয়ে করা জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভারদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ৷