কেরিয়ারের শুরুতেই একের পর এক জয় হাসিল করেছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। যে মেয়ে এক সময় নিজের গায়ের রঙের জন্য কষ্ট পেতেন, সেই মেয়ে বাজিমাত করেন সিনেদুনিয়ায়। বিদেশে পড়ার সূত্রে প্রিয়াঙ্কা বেশ কিছুদিন পরিবার থেকে দূরে ছিলেন। সেই সময়টা মোটেও ভাল ছিল না তাঁর জন্য। তিনি বন্ধুদের হাতে মাঝে মধ্যেই ট্রোল্ড হতেন। নিজের গায়ের রঙ নিয়ে মনে মনে ক্ষোভও হতো তাঁর। ফিরে এসেছিলেন ভারতে। যদিও থেমে থাকেননি তিনি। সেই সময়ই কয়েকটি পাসপোর্ট ছবি তাঁকে তুলতে হয়। তবে যিনি ছবি তুলতে এসেছিলেন, তাঁর প্রিয়াঙ্কার গঠন বেশ ভাল লেগেছিল।
তিনি বেশ কয়েকটি পোজ় দেওয়া ছবি তোলার আবদার রাখেন প্রিয়াঙ্কার কাছে। যা শুনে পলকে খুশি হয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। দিয়েও ছিলেন পোজ়। সেই ফটো তাঁর অজান্তেই তাঁর মা সেই ছবি ফেমিনাতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। যেখান থেকে ভাগ্য পাল্টে যায় প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার। এক সাক্ষাৎকারে অনুপম খেরকে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বলেন, ”ভাগ্যিস সেই বন্ধুরা আমার পিছনে লেগেছিল।”
এইসব কারণেই তাঁর ভারতে ফিরে আসা, অন্যত্র আবেদন করা। তাই তিনি বিশ্বাস করেন, যা হয় তার পিছনে নিশ্চয়ই কোনও না কোনও ভাল কারণ থাকে। যা সেই মুহূর্তে বুঝতে না পারলেও পরে সত্যি প্রমাণিত হয়। সেই প্রিয়াঙ্কা এখন সংসার পেতেছেন বিদেশের বুকেই। নিক জোনাসকে বিয়ে করে তিনি দিব্যি সংসার করছেন।