রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বারংবার। নবম-দশম শ্রেণীর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। জানান হল, নবম-দশম শ্রেণীর নিয়োগে দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে রয়েছে। দোষীদের খুঁজে বের করতে হবে বলেই জানিয়েছে আদালত। এই প্রেক্ষিতেই এসএসসি চেয়ারম্যানের হলফনামা তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ১১ মার্চ বেলা সাড়ে ১২ টার মধ্যে এই হলফনামা পেশ করতে হবে।
আসলে এই ইস্যুতে মূল অভিযোগ ছিল, সংরক্ষিত আসনে গণিত শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। এদিকে সুপারিশ পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে ত্রুটি রয়েছে বলে স্বীকার করেছে এসএসসি। আগে রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ উভয়েরই দাবি ছিল, তারা কেউই রেকমেন্ডেশন লেটার দেয়নি৷ তাহলে কী ভাবে নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগ করা হল? কারা কারা চাকরি দিয়ে লাভবান হয়েছেন, তা অনুসন্ধান করার নির্দেশ ছিল আদালতের। ১লা নভেম্বর ২০১৯ সালে রাজ্য সরকারের গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটির বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ নবম-দশম শ্রেণীর এসএলএসটি নিয়োগে দুর্নীতির সঙ্গে কে বা কারা এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত তা অনুসন্ধান করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
নবম-দশম শ্রেণীর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ সেই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছে এসএসসি। মামলাটি গ্রহণ করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ ছিল, কার নির্দেশে সুপারিশ হয়েছিল, সেটা অনুসন্ধান করে বার করবে এই কমিটি৷ বেনিয়ম এবং দুর্নীতির তদন্ত করতে হবে। আদালতের বক্তব্য ছিল, কলকাতা পুলিশ বা রাজ্যের পুলিশ তদন্ত করতে পারত। কিন্তু তারা যেহেতু রাজ্যের অধীনে তাই নিরপেক্ষ তদন্ত দরকার।