২৩ জুলাই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরা হয়নি। ইডি হেফাজত, জেল হেফাজত, সিবিআই হেফাজত শেষে আবার জেল হেফাজত। পুজোর ক’টা দিন গারদেই কাটাতে হবে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে । মাঝে কয়েকদিন সিবিআই হেফাজতে থাকার পর আজ থেকে আবার পার্থ বাবুর ঠিকানা প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। এদিন সংশোধনাগারে ঢোকার আগে সকলকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পার্থ বাবু। বলেছেন,“পুজোয় সবাইকে শুভেচ্ছা।” উল্লেখ্য, বুধবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ৫ অক্টোবর (দশমী) পুনরায় তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে। ফলে দুর্গাপুজোর দিনগুলি জেলেই কাটাতে হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
উল্লেখ্য,এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে আরও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি অঙ্কের টাকার পাহাড় উদ্ধার করেছিলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। ইডির দাবি, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। অন্তত ২০১২ সাল থেকে তাঁদের যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি ইডির। ইতিমধ্যেই পার্থ ও অর্পিতার নামে যৌথ মালিকানাধীন সম্পত্তির খোঁজও পেয়েছে, এমন তথ্য ইতিমধ্যেই উঠে এসেছে। সেই সংস্থার নাম ‘অপা ইউটিলিটি সার্ভিসেস’। পার্থ ও অর্পিতা একসঙ্গে বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছিলেন বলেও রিপোর্টে উঠে এসেছে। সম্প্রতি ইডির তরফে যে চার্জশিট আদালতে পেশ করা হয়েছে, তাতে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ইডির দাবি, অর্পিতা স্বীকার করেছে, উদ্ধার হওয়া ওই টাকা ও সোনা, সবই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের।
ইডি ও সিবিআই উভয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই ইতিমধ্যেই জোরকদমে তদন্ত শুরু করেছে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির। শুধু পার্থ চট্টোপাধ্যায়ই নন, আরও বেশ কয়েকজন বড় মুখ নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্যরা। তাঁদের গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এমন পরিস্থিতিতে নিয়োগ দুর্নীতির জটের রহস্যভেদ করতে তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।