সমাজ কর্মী নবিউল আলমের দেওয়া কেক, শীত বস্ত্র হাতে পেয়ে খুশীর বড়দিন জনজাতি গোষ্ঠী অধ্যুসিত রাভা বস্তিতে। মানুষ মানুষের জন্য,ভূপেন হাজারিকার সৃষ্টি এই অমর গানের মধ্যে থেকেই যেনো এক সময়ে ম্যালেরিয়ার আতুর ঘর সমস্যা ক্লিষ্ট ডুয়ার্সের জঙ্গল ঘেরা বিভিন্ন জনপদে বসবাসকারী জনজাতি গোষ্ঠীর মানুষ গুলোর মূখে সামান্য হাসি ফোটাতে সমাজ সেবায় ব্রত হয়েছেন পদ্মশ্রী করিমুল হক থেকে সাজু তালুকদার সহ নবিউল এর মতো মানুষের।
জলপাইগুড়ি বনবিভাগ এর মরাঘাট রেঞ্জ লাগোয়া গোসাইরহাট, খুকলুং ও মেলা বস্তি মূলত রাভা ও আদিবাসী জনজাতির এক জনপদ । তিন বস্তি মিলে মোট ২০০০ লোকের বসবাস। জঙ্গল থেকে জ্বালানির কাট সংগ্রহ ও কৃষি এই এলাকার মানুষের মূল জীবন জীবিকা ।তিনটি বন বস্তিতেই রয়েছে পৃথক পৃথক চার্চ।রাত পোহালেই তাদের সব থেকে বড় উৎসব বড়দিন। জঙ্গল ঘেরা এই জনপদে বসবাসকারী দুস্থ মানুষদের হাতে তুলে দেওয়া হলো শীত বস্ত্র,কেক,টুপি। একদিকে বনবস্তিতে লুকিয়ে থাকা রাভা শিল্পীদের প্রতিভা তুলে ধরতে আয়োজন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী রাভা নৃত্য সহ সংগীতের আসর।
রাভা জনজাতি গোষ্ঠীর বড়দিন উৎসবে সামিল হতে এগিয়ে এসেছিলেন সমাজকর্মী নবীউল আলম। এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাভা ডেভলপমেন্ট কাউন্সিলের সাধারন সম্পাদক তথা অঞ্চলের প্রাক্তন উপ প্রধান, দাউদ রাভা বলেন, উৎসবের সময় এলাকার দুঃস্থ মানুষ জনেদের কাছে শীত বস্ত্র ,তুলে দেওয়ায় সবাই খুশি , এছাড়া আমাদের এই অঞ্চলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে গ্রামীন পর্যটন প্রকল্পে হোমস্টে রয়েছে, যেখানে পর্যটকেরা আসেন ,এই সময়ে পর্যটকদের কাছেও রাভা বণ বস্তির এই বড় দিন উদযাপন তাদের জন্য এক বাড়তি উপহার হতে পারে। ঝার আলতা ২গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান উপ প্রধান রবি রাভা, সমাজ কর্মী নোবিউল আলমের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, বছরের একটি বিশেষ আনন্দের সময়ে যে ভাবে উনি আমাদের গ্রামের দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাতে এটুকুই বলবো স্বয়ং প্রভু ওনাকে পাঠিয়েছেন এই জনজাতি অধ্যুষিত এলাকায়। যদিও এই বিষয়টিকে প্রয়োজন অনুভব করেই এমন পরিকল্পনা ,এমনটাই জানালেন সমাজ কর্মী নবিউল আলম, তিনি বলেন,কিছু সময় আগে এই অঞ্চলে বেড়াতে এসে চোখে পরেছিল বেশকিছু মানুষের প্রয়োজন , সাধ্য মতো সেই প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করেছি,আগামীতে এই অঞ্চলের অন্যান্য গ্রাম গুলোতে চেষ্টা করবো এভাবেই দুঃস্থ অসহায়দের পাশে থাকার।