শ্রীলঙ্কার অর্থিনীতি তলানিতে এসছে ঠেকেছে। উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে গোটা শ্রীলঙ্কায়। এই পরিস্থিতিতে রাতের অন্ধকারে চুপিসারে দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের ভাই তথা দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষে।
কিন্তু বিমানবন্দরে পৌঁছাতে না পৌঁছতেই তাঁকে পাকড়াও করল জনতা। জানা যাচ্ছে, দেশের এই অপ্রতিকর পরিস্থিতির হাত থেকে বাঁচতে মধ্যরাতে বাসিল শ্রীলঙ্কা ছেড়ে দুবাই পালানোর চেষ্টা করেছিলেন।
কিন্তু বিমানবন্দরের যাত্রীরাই তাঁকে চিনতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় আধিকারিকদের খবর দেন। এরপর বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয় প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীকে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বিদেশ যাত্রার অনুমতি খারিজ করে অভিবাসন দপ্তর।
উল্লেখ্য শেই দ্বীপ রাষ্ট্রে অস্থির পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার পর থেকে এই কানাঘুষোয় শোনা যাচ্ছিল, শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাবক্ষে এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষে দেশ ছেড়ে পালিয়ে এসে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি সেই দাবি খারিজ করেছে ভারত সরকার।
ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে আরও একবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শ্রীলঙ্কার এই চরম পরিস্থিতিতে তারা শ্রীলঙ্কার পাশে থাকলেও এই মুহূর্তে সেই দেশের কোন মন্ত্রীকেই ভারতে আশ্রয় দেওয়া হয়নি। এরপরই সোমবার মধ্যরাতে কলম্বোর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক করা হয় বাসিলকে।
সূত্রে খবর, শ্রীলঙ্কার স্থানীয় সময় সোমবার মধ্যরাতে কলম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছিলেন বাসিল। বিমানবন্দরের ভিআইপি টার্মিনাল দিয়ে ঢুকে দেশ ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু বিমানবন্দরের যাত্রীরাই তাঁকে দেখে চিনতে পেরে যান এবং সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় আধিকারিকদের খবর দিলে বাসিলের পথ আটকান অবিভাসন দপ্তরের আধিকারিকরা।
জানা যাচ্ছে, অভিবাসন দপ্তরের আধিকারিকরাই তাঁর বিদেশ যাত্রার কাগজপত্রকে বৈধতা দেননি। মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত বিমানবন্দরে থাকার পরেও তাই শেষমেশ বাসিলকে হাল ছেড়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে রাষ্ট্রপতি ভবন ছেড়ে অজানা আশ্রয়ে চলে গিয়েছেন গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তারপর থেকেই জল্পনা চলছে, দেশ ছেড়েও পালিয়েছেন রাজাপক্ষে পরিবারের সদস্যরা। বিতর্ক আরও বেড়ে যায় বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংঘের একটি দাবি ঘিরে। সোমবার বিবিসির একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, দেশে নেই গোতাবায়া রাজাপক্ষে। তবে কিছুক্ষণ পরেই নিজের কথা প্রত্যাহার করে তিনি জানান, শ্রীলঙ্কাতেই রয়েছেন প্রেসিডেন্ট।