রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে কোনও সভা-সমিতি নয়, একেবারে বিধানসভা অধিবেশন থেকে এবার দ্রুত শিক্ষক পদ পূরণের প্রতিশ্রুতি দিল রাজ্য সরকার। পুজোর পর পরই রাজ্যের স্কুলগুলিতে প্রায় ৫৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, ছ’বছর পর নিয়োগ হতে চলেছে। এর জন্য নতুন নিয়োগবিধিও তৈরি করা হচ্ছে।
আদালতের নির্দেশ মেনেই যাবতীয় পদক্ষেপ করা হবে। কোন কোন বিভাগে কত শিক্ষক প্রয়োজন, তা জানার জন্য সমীক্ষা করা হবে৷ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ১৮৭ জন প্রার্থীকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার বিষয়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে ওই প্রার্থীদের তথ্য যাচাই এবং ভাইভাও হয়ে গিয়েছে। পুজোর আগেই উত্তীর্ণ প্রার্থীরে হাতে নিয়োগপত্র পেয়ে যাবেন৷ একই সঙ্গে শুরু হয়েছে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি।
ইন্টারভিউয়ে ডাক না পাওয়া এবং পরে যোগ্য বলে বিবেচিত উচ্চ-প্রাথমিকে শিক্ষক পদপ্রার্থীর সংখ্যা ১,৫৮৫৷ আদালতের নির্দেশানুসারে তাঁদের ইন্টারভিউ নেবে কমিশন। আদালতে জমা দেওয়া এফিডেভিটে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ইন্টারভিউ নেওয়ার সাত দিন আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। ইন্টারভিউ শেষ করতে ছ’ থেকে আট দিন সময় লাগবে। সমস্ত কাজ শেষ হওয়ার পর আদালত কোনও আপত্তি না থাকলে ১৪ হাজার ৩৩৯টি শূন্যপদে নিয়োগে আর কোনও বাধা থাকবে না।