পচিমবঙ্গে গেরুয়া শিবির জোর না তুলতে পারলেও, অন্য রাজ্যে জয়ের মুখ দেখেছে৷ পঞ্জাব বাদে পাঁচ রাজ্যের মধ্যে চার রাজ্যেই উঠেছে গেরুয়া ঝড়৷ ভোটের এই রায়কে ‘ঐতিহাসিক’ বলে বর্ণনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ তাঁর কথায়, ভোটের এই ফলে আজ থেকেই শুরু হোলির উৎসব৷ তিনি মনে করেন, এটা বিজেপি’র নীতি ও নির্ণয়ের জয়৷
গোয়া এখনও ত্রিশঙ্কু অবস্থায় থাকলেও উত্তরপ্রদেশ, মণিপুর ও উত্তরাখণ্ডে বিপুল জয় এসেছে বিজেপি’র৷ এর পরেই বিকেলে সদর দফতর থেকে মোদী বলেন, ‘‘দেশের চার দিক থেকে বিজেপি সমর্থন পেয়েছে। বিজেপি-র প্রতি মানুষের অপার বিশ্বাসের জয় হয়েছে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছিলেন, এই জয়ে আর কী আছে? এটা তো ২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোটেই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। সেই হিসেবেই আমি বলছি, ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের ফল ঠিক করে দিল ২০২৪ সালে ফের কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি।’’
বিজেপি সদর দফতরে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, নীতিন গড়কড়ি৷ দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের বিজেপি দফতরে উপচে পড়েছে সমর্থকরদের ভিড়৷ ঘনঘন উঠছে ‘মোদী-মোদী’ ধ্বনি। নমো বলেন, এই জয় দলের সকল কার্যকর্তার পরিশ্রমের ফল৷ মা-বোন-যুবাদের আশীর্বাদের ফল৷ এই জয়ের জন্য জেপি নাড্ডাকেও অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী৷
২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন বিজেপি-র কাছে ছিল অগ্নিপরীক্ষা। যোগী সরাসরি রণক্ষেত্রে অবতীর্ণ হলেও, ফলের অপেক্ষায় ছিলেন মোদী। কারণ এই রাজ্য মোদীরও। তিনি বারাণসীর সাংসদ। যুদ্ধ জয় করতে ২০২১ সালের দুর্গাপুজোর পর থেকেই উত্তরপ্রদেশে প্রচারে নেমে গিয়েছিলেন তিনি। অবশেষে ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের পক্ষেই রায় দেয় রাজ্যের মানুষ৷