লক্ষ্য এখন একটাই আগামী নির্বাচন। ২০২৩ সাল শুরু হতে না হতেই পঞ্চায়েত ভোটের দামামা চূড়ান্তভাবে বেজে যাবে। পঞ্চায়েতে ভাল ফল করতে একের পর এক পদক্ষেপ করছে তৃণমূল। এবার তৃণমূল ঘোষণা করল পঞ্চায়েত নির্বাচনের ২৩ সদস্যের বিশেষ কমিটি। জেলাভিত্তিক তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে। এই বিশেষ কমিটি পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনা করবে দলের তরফ থেকে। প্রার্থী বাছাই থেকে প্রচার পর্ব, সবকিছুই ঠিক করা হবে কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনার পর।
পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে অতীতে এমন কমিটি তৃণমূলকে করতে দেখা যায়নি। তাই যেভাবে কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এবার পরিস্থিতির বদল ঘটেছে। কয়লা পাচার, গরু পাচার থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড, বিভিন্ন ঘটনায় তৃণমূল চরম অস্বস্তিতে পড়েছে। তৃণমূল মনে করছে এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন তাদের কাছে কঠিন পরীক্ষা হতে চলেছে।
তার একটা বড় কারণ বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও, বেশ কয়েকটি জেলায় বামেরা তৃণমূলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন বলেই রাজনীতির কারবারিদের একাংশ মনে করছেন। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী যদি প্রচার করেন তবে অনেকটাই নিশ্চিন্ত হতে পারবে তৃণমূল। কমবেশি দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনায় তৃণমূলের যে কমিটি তৈরি হয়েছে তার সদস্যরা কতটা নিজের মতো করে কাজ করতে পারবেন, তা নিয়ে যথারীতি প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।