রাজ্য সরকার ও রাজ্যপাল দ্বন্ধ বরাবরের। এই বিবাদ থেকেই রাজ্যপালকে সমস্ত পদ থেকে অপসারণের দাবি উঠেছে। রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্য পদে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর জন্য যে বিলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পেয়েছিল। পরে বিধানসভায় ভোটাভুটিতে পাশও হয়ে গিয়েছে এই আচার্য বিল। কিন্তু রাজ্যপাল সই না করলে এই বিল নিয়ে কিছুই হবে না, এমন একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তা রাজ্যপাল কি এই বলে সই করবেন? প্রথমবার এই নিয়ে মুখ খুললেন জগদীপ ধনকড়।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা রাজভবনে গিয়েছিলেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও আচার্য বিল নিয়ে আলোচনা করতে। সেখানেই ধনকড় জানান, সংবিধান উপেক্ষিত হচ্ছে বলে যদি মনে হয় তাহলে তিনি আচার্য বিলে সই করবেন না। তবে সেরকম কিছু না হলে সই করতেও পারেন। বা এই নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে তিনি বৈঠক করবেন এমনও হতে পারে।
তাঁর স্পষ্ট কথা, তিনি কোনও পক্ষপাতিত্ব করবেন না, তবে বিলগুলি খুব মন দিয়ে পড়বেন। সেই বিল গ্রহণ করার মতো মনে হলে তবেই তিনি তা গ্রহণ করবেন। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যপাল। যদিও এই মন্তব্য করার পাশাপাশি রাজ্যের ওপর ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, রাজ্যপালের পদের গুরুত্ব বোঝার চেষ্টা করে না প্রশাসন। আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা নিয়েও তারা নিরুত্তাপ।
এদিকে বিধানসভায় স্বাস্থ্য মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য পেশ করেন ‘দি ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অব্ হেলথ সায়েন্সেস্ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২২’। তবে রাজ্যপাল এই বিলে সই করবেন কিনা তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তোলায় চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, সংবিধানে স্বাস্থ্য যৌথ তালিকাভুক্ত বিষয়। কেন্দ্রের মতো রাজ্যেরও অধিকার আছে আইন প্রণয়নের। এরপর কেউ যদি বলে সই করবেন না, তাহলে তা শিশু সুলভ আচরণ হবে।