পঞ্চাশ বিঘা খামার বাড়ির খোঁজ মিললো কেষ্টর

এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর চর্চায় রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বোলপুরের ‘অপা’র পরে এবার বোলপুরে খোঁজ মিলল অনুব্রতর খামারবাড়িরও। জানা যাচ্ছে, বীরভূমের বোলপুরে প্রায় ৫০ বিঘে জমির উপর প্রায় ২০ বছর ধরে রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের ওই খামারবাড়ি। সম্প্রতি এমনটাই দাবি করেছেন ওই খামারবাড়ির কেয়ারটেকার।

তাঁর কথায়, কুড়ি বছর আগে ওই সম্পত্তি কিনেছিলেন ‘কেষ্ট দা’। মাঝেমধ্যে ওই বাড়িতে এসে বিশ্রামও নিতেন তিনি। বাড়িটি বোলপুরের সিয়ান এলাকায় অবস্থিত বলে জানা যাচ্ছে। বাড়ির সঙ্গে লাগোয়া পুকুর, এমনকি ধান জমিও রয়েছে বলে খবর।

ওই বাড়ি লাগোয়া প্রায় ৫০ বিঘা জমির উপর ধান, মাছ, শক-সবজি সব কিছুরই চাষ হয় বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়া বাড়ির খামারে বড় বড় খড়ের গাদার হদিশ মিলেছে। তবে ওই খামারবাড়িতেও কোনও গবাদি পশু থাকতো কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।

জানা যাচ্ছে, ওই খামারের কেয়ারটেকারের এক আত্মিয়া অনুব্রতর বোলপুরের নিচু পট্টির বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। সেখান থেকেই খোঁজ মেলে কেয়ারটেকারের। তিনি জানান, প্রায় বছর কুড়ি আগে ওই সম্পত্তি কিনেছিলেন অনুব্রত।

তবে এখানেই শেষ নয়। গরু পাচার মামলায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর অভিযোগ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের নামে মোট ৪৫টি সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে অনুব্রত এবং তাঁর প্রাক্তন রক্ষী সায়গলের যৌথ মালিকানাও রয়েছে। তবে অধিকাংশ সম্পত্তিই রয়েছে অনুব্রতর একার নামে। সিবিআই সূত্রে খবর এমনটাই। এর সঙ্গেই ওই চার্জসিটে উল্লেখ করা হয়েছে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৮০০টি অস্ট্রেলিয়ান গরু পাচারে যুক্ত ছিলেন এনামুল হক এবং পুরো বিষয়টিই অনুব্রতর সমর্থনেই হয়েছে।