রক্ষা পেলো গদি, অবশেষে জিতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী

পূর্ব ঘোষনা মতো সম্প্রতি উপনির্বাচন ছিল ত্রিপুরাতে। কিন্তু এই ভোটপর্ব ঘিরেও সৃষ্টি হয়েছে ধুন্দুমার পরিস্থিতির। ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ত্রিপুরা জুড়ে, এমনকি রক্তও ঝড়েছে ভোটপর্ব ঘিরে। এসবের মাঝেই প্রকাশিত হলো ভোটের ফলাফল। ত্রিপুরার বিধানসভা উপনির্বাচনে জিতলেন ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। অষ্টম রাউন্ড শেষেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এগিয়ে ছিলেন ছয় হাজারের বেশি ভোটে।

ত্রিপুরার উপনির্বাচন কেন্দ্র টাউন বরদোয়ালি থেকে লড়াই করেন তিনি। তাঁর নিকটতম প্রতিদবন্ধী ছিলেন কংগ্রেসের আশিস কুমার সাহা। উল্লেখ্য, গত ২৩ তারিখ এই নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হয় ত্রিপুরার চারটি আসনে। টাউন বরদোয়ালি ছাড়াও ভোট হয় আগরতলা, সুরমা এবং যুবরাজনগর কেন্দ্রেও।

ওই তিনটি আসনেও প্রথমে এগিয়ে ছিল বিজেপি। কিন্তু পরে আগরতলা ৬ কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মণ জয়লাভ করায় শেষমেশ এই উপনির্বাচনে খাতা খুলতে সক্ষম হয়েছে হাত শিবির। খবর মেলে টাউন বরদোয়ালি কেন্দ্রে এগিয়ে বিজেপির মানিক। অন্যদিকে ৫ বারের কংগ্রেস বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মন আগরতলার প্রার্থী হিসাবে এগিয়ে রয়েছেন। 

উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীত্বের কুর্সি ধরে রাখতে হলে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার জয়লাভ করা অত্যন্ত জরুরি ছিল। ফলে তিনি জয়লাভ করায় স্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। পাশাপাশি জানা যাচ্ছে, এই প্রথমবার ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। যদিও তাঁর সঙ্গে কংগ্রেস প্রার্থী আশিসের ফারাক খুব বেশী নয়।বড়দোয়ালি কেন্দ্র থেকে মানিক পেয়েছেন ১৬,৮৭০টি ভোট। অন্যদিকে কংগ্রেসের দু’বারের বিধায়ক আশিস সাহা পান ১০,৯৩০টি ভোট। 

এর সঙ্গেই খবর মিলেছে, আগরতলা ৬ কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী সুদীপ রায় বর্মণও জয়লাভ করেছেন। কমিশন সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, সুদীপ রায় বর্মণ ৩২০২ ভোটে জিতে বিজেপি শিবিরের প্রার্থী ডা: অশোক সিনহাকে হারিয়েছেন। উল্লেখ করার মতো বিষয় হল সুদীপ রায় বর্মণ ২০১৮ সালেও বিজেপি প্রার্থী হিসেবে ওই কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং জয়ী হন। জোট সরকারে তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন। কিন্তু, বছর দেড়েকের মধ্যেই তিনি মন্ত্রিত্ব খুইয়ে ফেলেন। সম্প্রতি তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। আগরতলা আসনে জিতে এই সুদীপই আজ কংগ্রেসের মুখ রক্ষা করলেন। এবারের এই উপনির্বাচনে কংগ্রেসের বাজি ছিলেন তিনিই।